
দেশের হয়ে দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন একটা সময়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন বহু স্মরণীয় ম্যাচ। চাকরি করেছেন সরকারি দপ্তরে। তবুও এসআইআর-এ নাম নেই তরুণ দের। যা নিয়ে অবাক প্রাক্তন তারকা। শুধু তাই নয়, নাম নেই তাঁর স্ত্রীরও। যদিও তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর পুত্র ও কন্যার। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল বুঝতেই পারছেন না তরুণ।
ফোনে প্রাক্তন ফুটবলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আমি জানি না কী করে এমন হল। আমার জন্ম এ দেশেই। যা করেছি সবটাই এখানে। এমনকি আগেরবার ভোটটাও দিয়েছি। কী করে আমার আর আমার স্ত্রীর নাম বাদ পড়ল জানি না।' বাড়ি বদল করলেও ২০০২ সালের লিস্টে তাঁর নাম বাদ পড়ার কথা নয়। আর যদি বাদ পড়ে তা হলে এতদিন ভোট দিলেন কী করে? এটাই প্রশ্ন প্রাক্তন ফুটবলরের।
তিনি বলেন, 'আমি প্রথমে ১৯৯৪ পর্যন্ত গাঙ্গুলীবাগানে ছিলাম। এরপর আমি লায়েলকায় চলে এসেছি। ওখানে লিস্ট থেকে নামটা বাদ দিয়েই এখানে নামটা ঢুকেছে। তা ছাড়া আমি তো এখানে বেশ কয়েকটা ভোট দিয়েছি। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।'
এখন বর্ধমানে একটা অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন তরুণ। এই খবর পাওয়ার পর তড়িঘড়ি চলে এসেছেন কলকাতায়। কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। তরুণ জানালেন, 'আমি দুইদিন ছুটি নিয়ে কলকাতায় চলে এসেছি। এখানে এসে স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি অশ্বস্ত করেছেন।' কী জানিয়েছেন তাঁর অঞ্চলের বিধায়ক? জানতে চাওয়া হলে তরুণ বলেন, 'উনি বলেছেন, এরপর যখন ক্যাম্প হবে, সে সময় আমাকে আমার সমস্যা নিয়ে যেতে হবে। তখন সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।'
সে কারণেই দুশ্চিন্তা নিয়ে হলেও আশায় রয়েছেন তরুণ। ১৯৮৪ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা ডিফেন্ডারের নাম হঠাৎ বাদ পড়ায় আশঙ্কায় কলকাতা ময়দানের বাকি প্রাক্তন ফুটবলররাও।