ইরানে নিরাপত্তার কারণে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। আর তার জেরে বড় শাস্তি পেতে সবুজ-মেরুন ক্লাব। শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে ভারতীয় ফুটবলের উপরেও। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ইরানে সেপাহান এসসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। অস্ট্রেলিয় তারকারা ভিসা না পাওয়ায় খেলতে যায়নি তারা।
কী শাস্তি পেতে পারে মোহনবাগান?
তবে এবারেই প্রথম নয়, এর আগের বছরেও সরাসরি এসিএল ২ খেলার সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। আইএসএল লিগ শিল্ড জেতায় তাদের সামনে এই সুযোগ এসে গিয়েছিল। সেবার ট্রাক্টর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচও খেলতে যায়নি মোহনবাগান। তখন ইরানে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ফলে খুব বড় শাস্তি পেতে হয়নি মোহনবাগানকে। তবে এবার শুধু কয়েকজন ফুটবলার খেলতে যাচ্ছেন না বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শাস্তির পরিমাণ বাড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনই সেই শাস্তির ব্যাপারে সরাকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে আপাতত বহিষ্কৃত ভারতের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।
কী সমস্যা হতে পারে ভারতীয় ফুটবলে?
নিয়ম অনুযায়ী, আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ তে সরাসরি খেলার সুযোগ পায়। অন্যদিকে সুপার কাপ জেতা দল খেলার সুযোগ পায় এএফসি প্রিলিমিনারি রাউন্ডে। সেখান থেকে তাদের জিতে উঠতে হয় এসিএল ২তে। তবে এই ঘটনার জেরে, লিগ শিল্ড জিতলেও সরাসরি এসিএল-২-তে খেলার সুযোগ হারাতে পারে ভারতের যে কোনও ক্লাব। আর সেটাই বড় সমস্যার। ইতিমধ্যেই এফসি গোয়া এসিএল-২ খেলছে। তারা যদি খেলতে না পারে তবে ভারতীয় ফুটবলের বিরাট বড় ক্ষতি।
ভারতীয় ফুটবল দলের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার। দুর্গা পুজোর মধ্যেই মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের এই সিদ্ধান্তে অবাক প্রায় সকলেই। কেন অন্তত ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে ইরানে খেলতে গেল না দল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ সমর্থকরাও। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হার, তার আগে ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার। তাই হারের হ্যাটট্রিক ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ মলিনার দলের? যদিও এ সব ছাপিয়েও, এখন বড় প্রশ্ন, ভারতীয় ফুটবলের উপর কী শাস্তি নেমে আসতে চলেছে? চাপের মুখে যদিও ফুটবলাররা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে আত্মপক্ষ সমর্থন করার চেষ্টা করেছেন। তবে তাতেও ক্ষোভ কমছে না সমর্থকদের।