সুনীল ছেত্রীদের কোচ হলেন খালিদ জামিল। অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন জামশেদপুর এফসি-র প্রাক্তন কোচ। শুক্রবার সেই খবরে শিলমোহর পড়ল। প্রাথমিকভাবে কোচের পদের জন্য তিন জনের নাম শোনা যাচ্ছিল। শুক্রবার এআইএফএফ টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে খালিদকে কোচ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। মানেলো মার্কেজের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলেছেন ভারতীয় এই কোচ।
লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন খালিদ
খালিদ জামিল, স্টিফেন কনস্টানটাইন এবং স্টেফান তারকোভিচকে প্রাথমিকভাবে বেছে নিয়েছিল টেকনিক্যাল কমিটি। এই মুহূর্তে ফেডারেশন আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। ফলে প্রচুর টাকা দিয়ে কোনও বিদেশি কোচ নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই দেশীয় কোচ নিয়োগ করার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। আইএসএলে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং জামশেদপুর এফসি-তে সফল ভাবে কোচিং করিয়েছেন জামিল। অতীতে আইজলকে আই লিগ জিতিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
ফলে খালিদ আগে থেকেই এগিয়ে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দু’টি ম্যাচ রয়েছে ভারতের। তার অন্তত এক মাস আগে নতুন কোচ বেছে ফেলতে চাইছে ফেডারেশন, যাতে দল গড়তে যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ভারতে দীর্ঘ দিন কোচিং করানোয় জামিল প্রায় সব ফুটবলারকেই চেনেন। এখন দেখার, কী ভাবে তাঁদের থেকে সেরাটা বার করে আনতে পারেন তিনি।
আইজল এফসিকে জিতিয়েছেন আই লিগ
মুম্বই এফসির কোচ থাকাকালীন সকলের নজরে আসেন খালিদ। সেই সময় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সীমিত ক্ষমতা নিয়েও আটকে দিত খালিদের মুম্বই এফসি। এর পরে ২০১৬-১৭ সালে আইজল এফসিকে ঐতিহাসিক আই লিগ শিরোপা এনে দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। এর ফলে আইজল উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম দল হিসেবে জাতীয় লীগ জয়লাভ করে। ফলে সৈয়দ আব্দুল রহিম সেরা কোচের পুরস্কার পান।
জামশেদপুরের কোচ হয়ে সফল
জামশেদপুর এফসি-র হয়েও দারুণ কাজ করেছেন খালিদ। দলকে তুলেছেন আইএসএল-এর সেমিফাইনালে। পাশাপাশি লড়াকু ফুটবল খেলার ক্ষেত্রে ভারতীয় ফুটবলে ছাপ ফেলেছেন খালিদ। সেই সময় থেকেই, খালিদকে কোচ করার দাবি উঠেছিল ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে। ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ জেতাতে না পারলেও, সুপার কাপের ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তবে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে সেবার ফাইনালে হারতে হয়েছিল তাঁকে। খালিদের সামনে এখন আরও কঠিন লড়াই। ভাঙাচোরা দলকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে।