Advertisement

Mohun Bagan: মাঠে খেলছে ছোটরা, বড়রা ব্যস্ত মারপিটে, লজ্জা ঢাকতে দরজা দিলেন মোহন কর্তারা

শনিবারের বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবে অনুশীলন চলছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের যুব দলের। আর তার মধ্যেই ক্লাব লনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন কর্তারা। মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় মারামারির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে। তবে যুব ফুটবলারদের সামনে প্রাক্তন সচিব ও বর্তমান সচিবের এই দ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে খুব খারাপ বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল যুব ফুটবলারদের সামনে।

মোহনবাগান ক্লাবমোহনবাগান ক্লাব
জাগৃক দে
  • কলকাতা,
  • 18 Jan 2025,
  • अपडेटेड 8:14 PM IST

শনিবারের বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবে অনুশীলন চলছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের যুব দলের। আর তার মধ্যেই ক্লাব লনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন কর্তারা। মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় মারামারির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে। তবে যুব ফুটবলারদের সামনে প্রাক্তন সচিব ও বর্তমান সচিবের এই দ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে খুব খারাপ বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল যুব ফুটবলারদের সামনে।

মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের দাবিতে ঝড় তোলে প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু গোষ্ঠী। এখনই ভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত। এরপরেই শুরু হয় অশান্তি। চেয়ার তুলে এক পক্ষের দিকে এগিয়ে যায় আরেক পক্ষ। সেই ঘটনা দেখেই মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কর্তারা তৎপর হন। মাঠের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে ক্লাবের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয় এক ফুটবলার, সেই ক্লাবে চেয়ার দখলের জন্য চেয়ার তুলেই মারামারি? এটা দেখলে কিশোর ফুটবলারদের মনে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। নড়ে যেতে পারে ফোকাস। সেই কারণেই গেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ক্লাবের ফুটবলের দায়িত্বে থাকা সুপার জায়েন্ট কর্তারা।

পাশাপাশি যেভাবে গন্ডোগোল শুরু হয়েছিল, তাতে অনুশীলন করতে থাকা ছোট ছোট ফুটবলারদেরও সমস্যা হতে পারত। সেই সমস্ত ফুটবলাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই গেট বন্ধ করেন তাঁরা। এদিকে মারামারির খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল, মিমের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, 'ভাগ্যিস এ সমস্ত কর্তাদের হাতে ফুটবলের দায়িত্ব নেই।' 

মোহনবাগান ক্লাব কর্তারা ক্ষমতা দখল করতে মারামারি করছেন। আর মোহনবাগানের ফুটবল দল আইএসএল-এর শীর্ষে রয়েছে। আরও একবার লিগ শিল্ড জেতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল। তবে সেক্ষেত্রে কতটা ভূমিকা এই কর্তাদের রয়েছে সেটা নিয়েই চলছে চর্চা। 

যদিও প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বার্ষিক সাধারণ সভার শেষে জানিয়ে দেন, 'চেয়ার তুলে মারামারির ঘটনা ঘটেনি। একটা পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটে যায়। আমাদের কথা ছিল, দ্রুত নির্বাচন করতে হবে। সেটা নিয়ে সভাপতি কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং হবে। সেখানে আমাকেও থাকতে বলা হয়েছে।' সৃঞ্জয় যতই মোহনবাগানের সমস্যা ঢাকার চেষ্টা করুন, যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের লনে ঘটে গেল, তা নিঃসন্দেহে মাথা হেঁট করে দেবে যে কোনও মোহনবাগান সমর্থকের।         

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement