Advertisement

Mohun Bagan Election: দেবাশিস-সৃঞ্জয়ের সমঝোতা, CPM-এর বাপ্পাকে ঠেকাতে নবান্নের নির্দেশে সন্ধি?

মোহনবাগানে (Mohun Bagan) ভোট হল না। সমঝোতার পথেই ২২ সদস্যের কমিটি হতে চলেছে সবুজ-মেরুনে। একদিকে দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠী ও অন্যদিকে সৃঞ্জয় বসুর লড়াই নিয়ে বেশ জমে উঠেছিল ভোটের লড়াই। গোটা রাজ্য জুড়ে দুই পক্ষই ভোটের প্রচার শুরু করেছিল জোর কদমে। তবে কোন কারণে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সমঝোতার পথে হাঁটল দুই গোষ্ঠী?

দেবাশিস-সৃঞ্জয়দেবাশিস-সৃঞ্জয়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Jun 2025,
  • अपडेटेड 6:42 PM IST

মোহনবাগানে (Mohun Bagan) ভোট হল না। সমঝোতার পথেই ২২ সদস্যের কমিটি হতে চলেছে সবুজ-মেরুনে। একদিকে দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠী ও অন্যদিকে সৃঞ্জয় বসুর লড়াই নিয়ে বেশ জমে উঠেছিল ভোটের লড়াই। গোটা রাজ্য জুড়ে দুই পক্ষই ভোটের প্রচার শুরু করেছিল জোর কদমে। তবে কোন কারণে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সমঝোতার পথে হাঁটল দুই গোষ্ঠী?

শোনা যাচ্ছে, সরাসরি না হলেও, এক্ষেত্রে নবান্নের বড় ভূমিকা রয়েছে। মোহনবাগানের ভোট ঘিরে দুই পক্ষই আক্রমণ শানিয়েছে দুই পক্ষের দিকে। ঠিক যেন দুই রাজনৈতিক দলের লড়াই। এর মধ্যেই রাজ্যের শাসকের দাপটে এক হয়ে গেল দুই পক্ষ। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, ২২ জনের কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন সঞ্জয় ঘোষ (বাপ্পা)। তবে কেন? সিপিএম নেতা হওয়ার কারণেই কি কোপ পড়ল সৃঞ্জয় ঘনিষ্ঠ সদস্যের উপর?

যদিও এ কথা স্বীকার করতে নারাজ দেবাশিস, সৃঞ্জয় দুইজনই। সৃঞ্জয় বলেন, '২০১৮ সাল পর্যন্ত এই মোহনবাগান দলের অংশ ছিল। মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলে সিপিএম, তৃণমূল দেখা উচিত নয়।' দেবাশিস বলেন, ' কেউ বাদ পড়েননি।' এই সঞ্জয় ঘোষ একটা সময় মোহনবাগান ফুটবল দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। ম্যানেজার হিসেবে জিতেছেন আই লিগ (I League)। 

দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু

তবে মোহনবাগানে ভোট না হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ সৃঞ্জয়। তিনি বলেন, 'সব জায়গায় গণতন্ত্র থাকা উচিত। গণতন্ত্র না হলে সদস্যদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকবে না। এই সদস্যদের সঙ্গে জনসংযোগ তৈরি করা। দুই পক্ষই নির্বাচন করেছি। কোনও বিরোধী পক্ষ না থাকলে গণতন্ত্র থাকত না। কোথাও একটা লাগাম দেওয়া উচিত।' তবে ভবিষ্যতে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করবেন বলেই জানিয়েছেন সৃঞ্জয়। বলেন, 'এই দুটো কমিটি আগেও একসঙ্গে কাজ করেছি। ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য মাঝে আলাদা হয়েছিলাম। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়। দুই পক্ষ এতদূর এগিয়ে আগে কখনও এক হয়নি। মোহনবাগানের সেরা একাদশ গড়েছি। একসঙ্গে মিলেছি। ২২ জনের টিম। শ্রেষ্ঠ মোহনবাগান টিম।'

Advertisement

কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঠিক না হলেও, জানা গিয়েছে সচিব পদে বসছেন সৃঞ্জয়। সভাপতি পদে দেবাশিস। তা হলে টুটু বসু কি আদৌ কোনও পদ পাবেন? দুই পক্ষেরই দাবি, টুটুদা চিরকাল অভিভাবক। তিনি পদে থাকুন বা না থাকুন। ঐক্যের বার্তা দিয়ে দেবাশিস বলেন, 'মোহনবাগান ক্লাব সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। মোহনবাগান ক্লাব সোসাইটির অংশ। সব মানুষই কিছু না কিছু ভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে দেখতে চাইনা। একসঙ্গে ব্যবসা করি। সবাই মোহনবাগানী।'   

Read more!
Advertisement
Advertisement