শনিবার মোহনবাগানের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। গঠন হয়ে গিয়েছে কর্মসমিতিও। সোমবার সেই নতুন কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকেই মনোনীত হলেন মোহনবাগানের নতুন সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা। আপাতত কর্মসমিতিতে সচিবকে নিয়ে রয়েছেন মোট ২২ জন সদস্য। এরমধ্যে ১১ জন অফিস বেয়ারার আর বাকি ১১ জন কর্মসমিতির সদস্য। তবে নেই টুটু বসু।
দু’দশকেরও বেশি সবুজ মেরুনের সভাপতি পদ সামলেছেন! এবার তিনিও প্রাক্তনের পথে! সবুজ মেরুন সদস্য, সমর্থকদের কাছে আজও মোহনবাগান আর স্বপন সাধন বসু সমার্থক। ২০২৫ এর না-হওয়া নির্বাচনেও স্লোগান ছিল, ‘সব ভোট টুটু বোস’! পোস্টার ব্যানার, ফ্লেক্সে সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে টুটু বসুর ছবি দিয়েই নামতে হয়েছিল ভোট যুদ্ধে! ট্যাগলাইন থাকতো, তোমাকে চাই! সচিবের হটসিটে সৃঞ্জয় এলেন, তবুও সবুজ-মেরুনে ফেরা হল না টুটু বসুর! জীবনের ৭৭ টা বছর পার করে দেওয়া এই মানুষটাই তো মোহনবাগানের বাঁশিওয়ালা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে বদলা নেওয়া হোক বা সংকট থেকে ক্লাবকে বের করে আনা। সব ক্ষেত্রেই টুটু বসুই দিনের পর দিন মোহন জনতার ভরসা।
সোমবার দুপুরে মোহনবাগানের প্রথম কর্মসমিতির সভায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন দেবাশিস দত্ত। সেটাকে মান্যতা দেবেন বাকি সদস্যরা। এভাবেই বাকি সহ-সভাপতিদের মনোনীত করা হয়েছে। কুণাল ঘোষ ও সৌমিক বসু। কিছুদিন আগেও তো বাগানের না-হওয়া নির্বাচনের প্রচার সভায় হাজির ছিলেন স্বমেজাজে! তারও কয়েকদিন আগে বালিগঞ্জের বসু ভিলায় সাংবাদিকদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে বলেছিলেন,’টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়!’ মোহনবাগানকে ঘিরেই তো এই টাইগারের বেঁচে থাকা, স্বপ্ন দেখা! তা’হলে?
শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবে মতভেদ থাকতে পারে, সম্পর্কে দেওয়াল উঠতে পারে, গোষ্ঠী সমীকরণ বদলাতে পারে! কিন্তু মোহনবাগানী মানেই ডাবল-টু তে এসে এক, অভিন্ন। বাগানের অমিতাভ বচ্চন থেকে উত্তম কুমার সবই ওই একজন। বাগানের প্রবীণ থেকে নবীন সবার কাছেই তিনি হিরো। এত কিছুর পরেও!