মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিল। তবে এর দু'বছর পরে, ২০০৯ টি২০ বিশ্বকাপে, ভারতীয় দল ২০০৭ সালের পুনরাবৃত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেবছর সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি ধোনিরা।
ইংল্যান্ডের এই বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার চেয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মধ্যে ফাটলের খবর শিরোনামে ছিল। দুজনের মধ্যে পার্থক্যের খবরটি টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছিল।
আসলে, এক সংবাদিক সম্মেলনে ধোনিকে সেহওয়াগের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু এই বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তিনি বেশ বিরক্ত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে কোনও প্রশ্ন ফিটনেসের সাথে জড়িত, আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন বিসিসিআইর থেকে। সেহওয়াগ প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, 'আমি এ বিষয়ে কিছু বলছি না।'
ধোনির এই জবাব সেহওয়াগ এবং তার মধ্যে ফাটলের গুজব আরও তীব্র করে তুলেছিল। টিম ইন্ডিয়াকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টটি শুরু করতে হয়েছিল, তবে এর আগে যা হয়েছিল তা হতবাক। ট্রেন্ট ব্রিজের ম্যাচের একদিন আগে ধোনি পুরো দলকে নিয়ে সংবাদিক সম্মেলনে পৌঁছেছিলেন, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল।
ধোনির এই সিদ্ধান্তকে তার ক্রিকেট কেরিয়ারে নেওয়া অবাক করা সিদ্ধান্তগুলির একটি হিসাবে দেখা হয়। সেই সংবাদিক সম্মেলনে ধোনি বলেছিলেন, 'দলের মনোভাব আগের মতোই ভাল।' এই সময়, ধোনি বলেছিলেন যে ভারতীয় মিডিয়াতে আমার এবং সেহওয়াগের মধ্যে সাম্প্রতিক বিবাদের বিষয়টি মিথ্যা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মিডিয়া রিপোর্টিং ছাড়া কিছুই নয়।
সেহওয়াগ বিশ্বকাপের বাইরে ছিলেন। সেহওয়াগ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী রাউন্ডে কাঁধে চোটের লড়াইয়ে লড়াই করে যাচ্ছিলেন এবং এর কারণে বিশ্বকাপের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচগুলি বাদ দিয়ে তাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে বাইরে থাকতে হয়েছিল। পরে সেহওয়াগ চোটের কারণে এই টুর্নামেন্টের বাইরে ছিলেন।
ধোনির অধিনায়কত্বের সময়ে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশি কিছু গুজব রটেছিল ধোনিকে নিয়ে। এমনকি ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ধোনির মতবিরোধের কথাও ওঠেছিল। তবে সবটাই গুজব বলে বলেছিলেন ক্যাপ্টেন।