তারকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মণিকা বাত্রা ভারতের টেবিল টেনিস ফেডারেশনের দাবিকে অস্বীকার করেছেন যে তিনি জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের কথিত ফিক্সিং অফারটি মার্চ মাসে টিটিএফআই-কে জানাননি।
PHOTO Credits- Manika Batra (Instagram)
টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (টিটিএফআই) সচিব অরুণ ব্যানার্জি রায়ের বিরুদ্ধে মানিকার অভিযোগের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে, ভারতের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকের সময় সৌম্যদীপ রায়ের সাহায্য না নেওয়ার বিষয়ে ফেডারেশনের কাছে নোটিশের জবাবে বলেছিলেন যে জাতীয় কোচ তাকে দোহায় একটি ম্যাচ ফিক্স করতে বলেছিলেন এবং তিনি "অবিলম্বে" রিপোর্ট করেছিলেন টিটিএফআইয়ের ব্যাপার যা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এই কারণেই তিনি টোকিওতে সৌম্যদীপের কোনও সাহায্য নিতে চাননি। তিনি রবিবার পিটিআইকে একই কথা পুনরাবৃত্তি করেছেন, "আমি শুধু বলতে চাই যে নোটিশ এবং টিটিএফআইকে চিঠির আমার লিখিত জবাবে এটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে আমি তাদের অনেক আগে (মার্চে) বিষয়টি জানিয়েছিলাম।
"আমি জানি না কেন এখন আমার কাছে পাঁচ মাসের জন্য রিপোর্ট না করার জন্য মিথ্যা দাবি করা হয়েছে। নোটিশে আমার জবাব স্পষ্টভাবে আমার তাৎক্ষণিক প্রতিবেদনের দাবি করে।", বলেছেন মণিকা
টিটিএফআই একটি লিখিত উত্তরে সৌম্যদীপ রায়কে এই বিষয়ের দিকটি উপস্থাপন করতে বলেছে। তবে এই ঘটনা মণিকা বাত্রার কোচকে সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেই হচ্ছে বলে অনুমান অনেকের।
"আমার পক্ষ থেকে, আমি তাকে প্রতিশ্রুতি দেইনি এবং তাৎক্ষণিকভাবে টিটিএফআই কর্মকর্তাকে এই বিষয়টি জানিয়েছি। আমি জাতীয় কোচের অনৈতিক আদেশ না মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'' এমনটাই বলেছিলেন মণিকা।
"কোচের একটি খালি চেয়ার নিয়ে দেশের জন্য অসম্মান আনতে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।'' এমনটাই মত মণিকা বাত্রার।
মণিকা আরও বলেছেন, "কিন্তু সত্য হল যে, 'খালি চেয়ার' ছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য জাতীয় কোচের চাপের কৌশল এবং টিটিএফআই-এর নিষ্ক্রিয়তার ফলে সেই ঘটনার আমার দ্রুত রিপোর্টিংয়ে কাজ না করা এবং আমার তথাকথিত শৃঙ্খলার ফল নয়।" নোটিশের জবাবে মণিকা বলেছিলেন।
এই মাসের শেষের দিকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সোনিপাতে চলমান জাতীয় ক্যাম্পেও তার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই। টিটিএফআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে শিবিরে অনুপস্থিত কোনও খেলোয়াড় জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিবেচিত করা হবে না।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত টিটিএফআইয়ের তরফে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কে এই বিষয়ে দোষী সেটা এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশায় রয়েছে। সৌম্যদীপ রায় এমনটা করেছিল কী না সেটাও এখনও মণিকার অভিযোগ অনুযায়ী স্পষ্ট নয়।