মাঠে এক লক্ষ তিরিশ হাজার দর্শক। ফেডারেশন কাপের লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আজ ডায়মন্ড ডার্বির রজত জয়ন্তী। অমল দত্তের সঙ্গে ফুটবল মস্তিষ্কের লড়াইয়ে দারুণ ভাবে জিতেছিলেন পিকে বন্দোপাধ্যায়। ডায়মন্ড সিস্টেমে খেলা অমল দত্তের মোহনবাগানকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় পিকে বন্দোপাধ্যায়ের ইস্টবেঙ্গল।
২৫ বছর কেটে গেলেও এই ম্যাচের স্মৃতি আজও টাটকা 'ডায়মন্ড কাটার' নাজিমুল হকের মনে। আজতক বাংলাকে জানালেন তাঁর অনুভূতির কথা। নাজিমুলের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বাকি কাজটা সেরে ফেলেন বাইচুং ভুটিয়া। হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তবে নাজিমুলের সাইড ভলিতেই ভাঙে ডেডলক।
আরও পড়ুন: বাটলারদের হারিয়েই বাজিমাত, ICC ওয়ান ডে র্যাঙ্কিংয়ে ৩ উঠে এল ভারত
এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ নাজিমুল। তিনি বলেন, ''২৫ বছর আগের ঘটনা হলেও আমার মনে হয়, এই তো চোখের সামনে সবটা দেখতে পারছি। এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গেলেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। এই ম্যাচটা খেলতে যাওয়ার আগে থেকেই সংকল্প নিয়েছিলাম মোহনবাগানকে হারাবই।''
আরও পড়ুন: এই সপ্তাহে হবে না সই, ট্রান্সফার ব্যান নিয়েও সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল
কী ভাবে করলেন প্রথম গোলটা? প্রশ্ন শেষ করার আগেই নাজিমুল বললেন, ''এর আগে অনেকবার প্র্যাক্টিসে সাইডভলিতে গোল করেছি। তবে ম্যাচে করতে পারিনি। ওই দিন আমরা প্রথম দিকটায় বেশ চাপে ছিলাম। স্কোরবোর্ড দেখলে সেটা বোঝা সম্ভব নয় ঠিকই, তবে প্রথম দিকে ভাল আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটা কর্নারও আদায় করে নেয়। তাই আমার গোলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।''
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ম্যাচে গোল করা সেই স্বপনকে সম্মান ইস্টবেঙ্গলের, পুরস্কার গৌতমকেও
ডায়মন্ড পদ্ধতিতে অমল দত্তের মোহনবাগান খুব আক্রমানত্বক ফুটবল খেলত। কী ভাবে সেই আক্রমণ রোখার ছক কষেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ পিকে বন্দোপাধ্যায় তাও জানালেন নাজিমুল। তিনি বলেন, ''আমরা কাউন্টার অ্যাটাকে দ্রুত গোল তুলে নিতে চেয়েছিলাম। আমাদের দলে এক জনই স্ট্রাইকার ছিল, বাইচুং। তাই মোহনবাগানের আক্রমণ ঠেকিয়ে দ্রুত উঠে আসতে হত আমাদের। আর আমরা সেটাই করেছিলাম। তবে মোহনবাগানও কিন্তু দারুণ ফুটবল খেলেছিল। এটা মানতেই হবে।''