আইপিএল-এর (IPL) পিছু ছাড়ছে না বেটিং বিতর্ক। ২০১৯ সালে আইপিএল-এ বেটিং পরিচালিত হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। এমনটাই দাবি সিবিআই-এর (CBI)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ''২০১৯ সালে পাকিস্তানের বুকিরা বেট করেন। আর সেই কারণে ম্যাচেও তার প্রভাব পড়েছে। বুকিরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বেটিং-এ প্ররোচিত করছে।''
টাকার লেনদেন করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল বুকিরা। এমনটাই জানা যাচ্ছে, সিবিআই সূত্রে। ভুয়ো কাগজ পত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সহযোগিতায় গোটা কাজটা করেছিলেন বুকিরা। টাকা তোলা হয়েছিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকেও এসেছিল বিরাট অঙ্কের টাকা। ২০১০ সাল থেকেই আইপিএল-এ এমন ভাবে বেটিং করছেন বুকিরা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করে চলেছেন তারা। ফলে অনেকেই টাকা লাগাচ্ছেন। কিন্তু প্রতারিত হচ্ছেন। এই বুকিরা খেলার চালচিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন।
সিবিআই জানিয়েছে, ''সাধারণ মানুষ শুধু নয়, বিদেশ থেকেও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা এসেছে বুকিদের কাছে। ২০১০ সাল থেকেই আইপিএল-এ এমন কাজ করে চলেছেন বুকিরা।''
এই ঘটনায় তিন জনের নামে এফআইআর করেছে সিবিআই। হায়দরাবাদ নিবাসী গুরাম ভাসু, গুরাম সতীশ, দিল্লির বাসিন্দা দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই।
২০১৩ সালে আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন এস শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চৌহান। তার সঙ্গেই দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল দুই ফ্র্যাঞ্চেইজি। রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। তবে সেক্ষেত্রে পাক যোগের কথা জানা যায়নি। ২০১৯ সালে আইপিএল ফাইনাল বেশ উত্তেজক ছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings) ১ রানে হারিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)।