তিনি ঋষভ পন্তের (Rishabh Pant) প্রতিবেশি। উত্তরাখণ্ডের রুরকি থেকে উঠে আসা এই বোলার ছুঁয়ে ফেললেন অনিল কুম্বলেকে (Anil Kumble)। মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন আকাশ মাধওয়াল (Akash Madhwal)। ২৯ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার একবার হ্যাটট্রিক করার মতো জায়গাতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেটা হলে হয়ত ভেঙেই যেত আইপিএল-এ কুম্বলের সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন আকাশ
অনিল কুম্বলের সঙ্গে আরও একটা দারুণ মিল রয়েছে আকাশের। কিংবদন্তি স্পিনারের মতো আকাশও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়া এই বোলার আগে খেলতেন টেনিস বল ক্রিকেট। আর এদিন চিপকে আগুন ঝড়ালেন। পরপর দুই বলে আউট হন নিকোলাস পুরান ও দীপক হুডা। ম্যাচ শেষে যদিও নিকলাস পুরানের উইকেটটাই সবচেয়ে প্রিয় আকাশের কাছে। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ম্যানেজমেন্ট কিছু লক্ষ্য স্থির করে দিত। সেটা মেনেই এগিয়ে গিয়েছি। আর তাতেই সাফল্য এসেছে। আশা করব এভাবেই বাকি ম্যাচগুলোতে এগিয়ে যেতে পারব।‘
পন্তের শহরে থাকেন আকাশ
ঋষভ পন্ত আইপিএল থেকে দূরে থাকলেও, আকাশ আবার উজ্জ্বল করলেন রুরকির নাম। গত বছরেই মুম্বই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের শেষে রোহিত বলেন, ‘ও আমাদের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই ছিল। গত বছর দলে এসেছিল। যদিও আমরা ওকে গতবছরে খেলাইনি। তবে আমরা জানতাম কী দারুণ বোলার আমাদের দলে রয়েছে। ক্রিস জর্ডন চোট পাওয়ার পরেই আমরা ঠিক করে নিই এমন বোলারই আমাদের লাগবে তাই আকাশকে দলে নেওয়া হয়। দারুণ কাজ করেছেন আমাদের স্কাউটাররা।‘
আরও পড়ুন: কোহলির সঙ্গে বিবাদ, বিতর্কিত সেই পাঠান পেসার ভাঙলেন মুম্বইকে
১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে রান করাটা কতটা কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকেন লখনউ ব্যাটাররা। কায়েল মেয়ার্স ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন। প্রেরক মারকান্ডও ব্যর্থ হন। ২৭ বলে ৪০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মার্কাস স্টোয়নিশ। পাঁচটা চার আর একটা ছক্কা মারেন তিনি। দীপক হুড্ডার উইকেট হারাতেই লড়াই থেকে হারিয়ে যায় লখনউ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১০১ রানে শেষ হয় ইনিংস। যার মধ্যে একাই পাঁচ উইকেট আকাশের।