আইএসএল-এ (ISL) প্রথম জয় পেল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (North East United)। তাও এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) হারিয়ে। ৬৯ মিনিটে উইলমার জর্ডনের করা গোলে এগিয়ে যায় নর্থ ইস্ট। গোল শোধ করতে পারেনি মোহনবাগান। একাধিক ফুটবলারের চোট সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর। এর আগে ১০টি ম্যাচ খেলে ফেললেও সবকটিতেই হেরে গিয়েছে নর্থ ইস্ট। শনিবার ক্রিসমাস ইভে দারুণ গিফট পেলেন তাদের দলের ফুটবলাররা।
উইলমার জর্ডনের দুরন্ত হেডে অবশেষে কাঙ্খিত জয় এল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। চার ম্যাচ পরে পাহাড়ে হারতে হল এটিকে মোহনবাগানকে।
কীভাবে গোল খেল এটিকে মোহনবাগান
৬৮ মিনিটে এমিল বেনির সেন্টারে মাথা ছুইয়ে জয়সূচক গোল উইলিয়াম জর্ডনের। তবে মিরশাদ মিচুর হাতে এদিন এটিকে মোহনবাগানের জয়ের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চোটের জন্য ছয় বিদেশির মধ্যে তিন বিদেশি হাতে নেই। এমন অবস্থাতেও এই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল এটিকে মোহনবাগানের। দিমিত্রি পেত্রাতোস,ব্র্যান্ডন হামিল,কার্ল ম্যাকহিউ এবং লিস্টন কোলাসো পরিত্রাতা হতে পারতেন। কিন্তু তারা প্রত্যেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষনের জালে শুধু আটকেই থাকলেন না দিগভ্রষ্ট হলেন।
ময়দানের পুরনো প্রবাদ, পয়েন্ট টেবিলের লাস্ট বয়রা ওপরের দিকের দলগুলোর জন্য বিপদ বয়ে নিয়ে আসে। যা এদিন এল এটিকে মোহনবাগানের জন্য। এই সব ম্যাচে দ্রুত গোল তুলে নেওয়ার মধ্যে থাকে সাফল্যের চাবিকাঠি। কিন্তু লিস্টন কোলাসো স্কোরিং বুট কোথায় হারিয়ে ফেলেছেন তা নিজেই জানেন না। শনিবারও একাধিকবার সহজ সুযোগ থেকে গোল করতে বা করাতে পারলেন না। যার খেসারত দিতে হল দলকে। দ্রিমিত্রি পেত্রাতোস সম্বন্ধেও একই কথা বলা যায়। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ডিফেন্ডারদের পাহারায় তিনিও গোলের মুখ হাতড়ালেন। এদের ব্যর্থতা প্রকট হয়েছে মিরশাদ মিচুর দুরন্ত গোলরক্ষায়। সময় যত গড়িয়েছে মিরশাদ বারের তলায় ডালপালা ছড়িয়েছেন।
প্রথমার্ধে অন্তত দুবার গোলের সুযোগ নষ্ট হয় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। উইলমার জর্ডনের একটি শট পোষ্টে লেগে বেরিয়ে যায়। এমিল বেনীর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিআক্রমনের নিখুঁত ছকে সবুজ মেরুনের গোল করার যাবতীয় চেষ্টা রুখে দেয় হাইলান্ডার্সরা। অবশেষে জয়। তবে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখনও সবার নিচে। অন্যদিকে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আটকে সবুজ মেরুন। হুগো বুমোসের চোট এবং প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাব তাদের জয়ের রথে রশি পড়ালো।