ফের হার। টানা ৬ ম্যাচ হেরে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে দারুণ খেলল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। গোল পাচ্ছিল না। দারুণ ডিফেন্স করছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) ডিফেন্ডাররা। তবে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ম্যাচ হেরেই বসল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার, আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে। সেই গোলেই জিতল এটিকে মোহনবাগান। গোটা ম্যাচে গোল করার মত সুযোগ সেভাবে পায়নি কোনও দলই। তবে গোটা ম্যাচে আধিপত্য ছিল এটিকে মোহনবাগানের। মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে এটিকে মোহনবাগানকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। তিনি অনেকাংশেই সফল। তবুও কেন হারতে হল লাল-হলুদকে? দেখে নিন ৪ কারণ:
ফিটনেস: ফিটনেস যে তাঁর ফুটবলারদের সমস্যা তা ভালই জানতেন স্টিফেন। সেই জন্য ম্যাচের আগেই তিনি জানিয়েছেন, ঠিক কতদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন। তাতেই বোঝা যায়, ফিটনেস সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেননি ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তবুও যে লড়াই লাল-হলুদ ফুটবলাররা দিলেন তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আশিক-এর সঙ্গে কিরিয়াকু, প্রীতমের সঙ্গে আশিস রাই আর তার সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তীর উপস্থিতি। সব মিলিয়ে জায়গাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে হারাল এটিকে মোহনবাগান
গোল করার সুযোগ নষ্ট: খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। অল্প যে ক'টা সুযোগ পেয়েছিল তাও কাজে লাগাতে পারেনি। সুমিত পাসির কাছে সুযোগ ছিল গোল করে নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার। তিনি পারেননি। এছাড়াও কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কোনও স্ট্রাইকারই।
মনোসংযোগের সমস্যা: যে কর্নার থেকে গোল পেল এটিকে মোহনবাগান সেটা সহজেই ক্লিয়ার করা যেত। তবে তা হয়নি। সুমিত পাসির বুকে লেগে বল জালে জড়াল। আরও একবার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান ইভান গঞ্জালেজের ভুল থেকে। দারুণ সেভ করেন গোলরক্ষক কমলজিৎ। মাঝে মধ্যে ডিফেন্স করতে গিয়ে ভুল করে ফেলছিলেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডাররা।
আরও পড়ুন: 'খেলা হবে...', ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে টুইটারে যুদ্ধ সমর্থকদের
অভিষেক যাদবের প্রথম থেকে না থাকা: অভিষেক যাদব ডুরান্ড কাপে দারুণ ফর্মে। তবুও এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে কেন নামালেন না স্টিফেন তা রহস্যের। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে দারুণ খেললেন অভিষেক। আগে নামলে গোলের রাস্তা খুলে ফেলতে পারতেন তিনি।
এর পাশাপাশি জিতলেও চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন না জুয়ান ফেরান্দো। গোল করতে না পারার সমস্যা থেকেই গেল। দেখা গেল ফুটবলারদের অকারণে মাথা গরম করার প্রবনতাও। দেখে নিন কোন কোন বিষয় চিন্তা থাকল জুয়ানের
গোল করতে না পারা: সুযোগ যে একেবারেই পায়নি এটিকে মোহনবাগান সেটা বললে ভুল হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫-৬টা সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
ফুটবলারদের মাথা গরম করা: বার বার মাথা গরম করে ফেলছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বুমোসরা। তিনটে হলুদ কার্ডও দেখতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা কমাতেই হবে। নয়ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারাতে হতে পারে ভাল ফুটবলারদের।
দুই উইংকে ব্যবহার করতে না পারা: আশিস রাইকে ডানদিক থেকে উঠতে দেননি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্রীতম। অন্যদিকে আশিক ক্রুনিয়ানকে বারেবারে আটকে দিয়েছেন কিরিয়াকু। জুয়ানকে এটা নিয়েও ভাবতে হবে। তবে আজ এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স বেশ ভাল খেলেছে। এটা নিয়ে খুশি হতে পারেন জুয়ান।