স্ট্রাইক রেট নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে (Pakistan Cricket) তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি (T20 Cricket) আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়ক বাবর আজমসহ বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর কম। এ কারণেই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বারেবারে সমালোচিত হচ্ছেন। ক্যাপ্টেন বাবরও বহুবার ট্রোলড হয়েছেন।
কিন্তু এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) সভাপতি ও প্রধান নির্বাচক পরিবর্তনের পর অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির নেতৃত্বে প্রধান নির্বাচক শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi) বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন স্ট্রাইক রেট দেখেই টি-টোয়েন্টি দলে খেলোয়াড় বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারত VS শ্রীলঙ্কার প্রথম T20, কখন-কীভাবে ম্যাচ দেখা যাবে?
আফ্রিদির বক্তব্যে ট্রোলড বাবর-রিজওয়ানরা
আফ্রিদি বলেন, 'টি-টোয়েন্টির মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে স্ট্রাইক রেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে যাদের স্ট্রাইক রেট ১৩৫-এর বেশি হবে না, তাদের টি-টোয়েন্টিতে দলে নেওয়া হবে না। আফ্রিদির বক্তব্যের পর ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam) এবং তারকা খেলোয়াড় মহম্মদ রিজওয়ানকে (Mohammed Rizwan) ট্রোল করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'বাবর ও রিজওয়ান অবসর নিতে পারেন।' বাবর আজম এখনও পর্যন্ত ৯৯টি টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২৭.৮০। অন্যদিকে মহম্মদ রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেট ১২৬.৬২। তিনি এখন পর্যন্ত ৮০ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর বেশি নয়। তবে এই দুই ক্রিকেটারের ভক্তদের দাবি, আফ্রিদি বলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা। গোটা কেরিয়ারের কথা বলেননি। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে বাবার আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর থেকে অনেক বেশি।
বাবর ও রিজওয়ানের এখন কী হবে?
কিছু ব্যবহারকারী, বাবর আজমকে তার ঘরোয়া রেকর্ড শেয়ার করেছেন । শাহীদ আফ্রিদির বক্তব্য শেয়ার করে আরেকজন প্রশ্ন করেছেন, 'তিনি কি বাবর আজম ও মহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিতে চান?' আরেক ব্যবহারকারী সরাসরি প্রশ্ন করেন, 'বাবর আজমের এখন কী হবে?'