Advertisement

T20 World Cup 2022: নাগিন ডান্স থেকে ঝগড়া, বিতর্কের ট্র্যাক রেকর্ড দীর্ঘ বাংলাদেশের

বাংলাদেশকে হারিয়ে আরও ২ পয়েন্ট পেয়ে গেল ভারতীয় দল (Tea India)। বুধবারের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ১৮৪ রান তোলে ভারতীয় দল। তবে এই রান তাড়া করতে নেমে পাঁচ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। ম্যাচ চলাকালীন নানা ধরনের বিতর্ক সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তা নিয়ে ঝড় উঠেছে।

বাংলাদেশের নাগিন নাচ বাংলাদেশের নাগিন নাচ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Nov 2022,
  • अपडेटेड 1:33 PM IST
  • বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা
  • মাঠের মধ্যে বারবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা

বাংলাদেশকে হারিয়ে আরও ২ পয়েন্ট পেয়ে গেল ভারতীয় দল (Tea India)। বুধবারের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ১৮৪ রান তোলে ভারতীয় দল। তবে এই রান তাড়া করতে নেমে পাঁচ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। ম্যাচ চলাকালীন নানা ধরনের বিতর্ক সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তা নিয়ে ঝড় উঠেছে। দুইবার এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ম্যাচের সেরা হওয়া বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভারতের ব্যাটিং-এর সময়, নো বল দেওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের অভিযোগ ছিল, বিরাট আম্পায়ারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ফিল্ডিং-এর সময়, সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিরাট-এর বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিং এর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জানান নাজমুল হাসান শান্ত ও লিটন দাস। প্রথমে শান্ত, আম্পায়ার ক্রিস্টাউন ও মারাই এরাসমাসকে ঘটনাটা জানান তবে শান্তর কথায় গুরুত্ব দেননি আম্পায়াররা।

বুধবার সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে বল ফিল্ডিং করেন আর্শদীপ সিং। সেই থ্রো উইকেটের দিকে আসার আগেই বল ছোড়ার ভঙ্গিতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। আর তাই নিয়ে অভিযোগ বাংলাদেশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের। এই সবের মাঝে, এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে বাংলাদেশের সমর্থক বা ভক্তরা খেলা চলাকালীন অন্যায় করেছেন।

আরও পড়ুন

১. বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, নিদাহাস ট্রফি ২০১৮

নিদাহাস ট্রফির ষষ্ঠ ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১২ রান। ইসরু উদানার প্রথম বলটি ডট হয়ে যায়। দ্বিতীয় বলটিও একটি মিস করেন মুস্তাফিজুর। এরপর রান চুরি করার চেষ্টা করলেও রানআউট হন তিনি। ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাকিব আল হাসান  নেমে এসে বাউন্ডারি থেকে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা শুরু করেন। বদলি ফিল্ডার দৌড়ে এসে আম্পায়ার ও শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাকিব। আসলে, দ্বিতীয় বলে নো-বলের ইঙ্গিত লেগ-আম্পায়ারকে দেখিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তখন আম্পায়ার মুস্তাফিজুরকে রান আউট দিলেও নো-বল দেননি।  এ কারণে ৪ বলে ৫ রানের পরিবর্তে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২ রান। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় বিকল্প ফিল্ডারকে চলে যেতে বলেন এবং তাকে অন্য দিকে ঠেলে দেন। এই ধাক্কা কথোপকথন ঝামেলা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং খেলোয়াড়রা একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন। বাউন্ডারিতে চিৎকার করছিলেন বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়। অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল এবং সাকিব আল হাসান তাঁর ব্যাটারদের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিতে থাকেন। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর ম্যাচ আবার শুরু হয় এবং মাহমুদউল্লাহ ৫ম বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন।

Advertisement

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও উভয় দলের খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের সঙ্গে আগ্রাসী ভঙ্গীতে কথা বলার সময় মাহমুদউল্লাহকে একবার নিজের সতীর্থের ওপর চিৎকার করতে দেখা যায়।

২. বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, টি২০ সিরিজ ২০১৮ (দেরাদুন)

দেরাদুনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দল। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তান, ৩ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ও বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের দুই হাত মাথার উপরে তুলে মজা করতে করতে সাপের মতো নাচতে দেখা গিয়েছে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের 'ফিনিশিং মুভ'-এর মতো হয়ে গিয়েছিল। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কিপার ও ব্যাটসম্যান মহম্মদ শাহজাদকে আউট করার পর নাজমুল ইসলামও নাগিন ডান্স দেখাতে থাকেন। 

ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। আর প্রথম বলেই মুশফিককে আউট করেন রশিদ খান। শেষ ওভারে টানা ৫টি চার মেরেছিলেন মুশফিক। শেষ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪ রান এবং বাউন্ডারিতে শফিকুল্লাহর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কারণে তারা মাত্র ২ রান করতে পারে এবং তৃতীয় রান নিতে গিয়ে কিপার শাহজাদের বলে রানআউট হন মাহমুদউল্লাহ। এবার নাগিন নাচ করে আফগানিস্তানও। আফগানিস্তানের অন্যান্য খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সামনে নাগিন নাচ করতে থাকেন।

 

৩. বাংলাদেশ বনাম ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ২০২০

২০২০ সালে দুই দলই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়। যেখানে ভারতীয় দল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ রানে পরাজিত করে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দুই দল। এই ম্যাচে প্রথম থেকেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় বোলার তানজিম হাসান সাকিব ব্যাটসম্যান দিব্যাংশ সাক্সেনার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে তার দিকে সজোরে ছুড়ে দেন। দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং আম্পায়ার এসে বিষয়টি শান্ত করেন। কিছুক্ষণ পর যশস্বী জয়সওয়াল আউট হলে তাঁকে গালিগালাজ করেন বোলার শরিফুল ইসলাম। 

ম্যাচ যখন প্রায় শেষের দিকে, তখন উভয় দেশের সমর্থকরা স্ট্যান্ডে একে অপরের সঙ্গে ঝামেলা করতে থাকেন। কিছু বোতলও মাঠে ছুড়তে থাকে তারা। আর বাংলাদেশ যখন জিতে যায়, তখন সব খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফরা ছুটে আসেন মাঠে। এ সময় মাঠে ফিল্ডিং করা ভারতীয় খেলোয়াড়দের এমন কথা বলা হয়, যা সমর্থন যোগ্য নয়।। ম্যাচের পর বাংলাদেশি অধিনায়ক আকবর আলি তাঁর খেলোয়াড়দের আচরণের জন্য ক্ষমা চান, অন্যদিকে ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গর্গ বলেছেন যে যা হয়েছে তা মোটেও ঠিক হয়নি।  

৪.  ভারতীয় খেলোয়াড়দের আপত্তিকর পোস্টার 

২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই ম্যাচের ঠিক আগে, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে একটি পোস্টার শেয়ার করা শুরু হয়েছিল যাতে ধোনির কাটা মাথাটি বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের হাতে দেখা যায়। আসলে, ২০১৫ বিশ্বকাপে এই দুই দলের মধ্যে ম্যাচের সময়, যে বলে রোহিত শর্মা ক্যাচ দিয়েছিলেন সেই বলকে নো-বল ডাকেন আম্পায়াররা। তারপরে রোহিত সেঞ্চুরি করেছিলেন। বাংলাদেশি ভক্তরা জানান, এটা নো-বল ছিল না। এখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় দুই দেশের ভক্তদের লড়াই। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement