সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে (Switzerland vs Portugal) প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। এর জন্য না কি কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় রোনাল্ডো। এমনকি বিশ্বকাপের মাঝপথেই না কি দল ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে এমন খবরকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিল পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন (Portugal Football Federation)।
তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে,‘জাতীয় দল ও দেশের হয়ে প্রতিদিনই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অনন্য ইতিহাস তৈরি করে চলেছেন। এটা অবশ্যই সম্মানের। যা জাতীয় দলের প্রতি তার প্রশ্নাতীত মাত্রার প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে। পর্তুগালের ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) বিষয়টি পরিষ্কার করছে যে,জাতীয় দলের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কখনও কাতারে জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেননি।’
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, নকআউটের এই ম্যাচে বেঞ্চে থেকেই শুরু করবেন রোনাল্ডো। আর ম্যাচেও সেটাই হয়েছে। ২০০৪ সালের পর প্রথমবার বড় কোনও টুর্নামেন্টের ম্যাচে বেঞ্চে বসে রইলেন তিনি। ১৮ বছর পর আর দিনের হিসেবে ৬৭৪৭ দিন পরে কোনও ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা হল না তাঁর। ২০০৪ ইউরো কাপে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না তিনি।
এর আগে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারেননি রোনাল্ডো। সেই ম্যাচে ৬৮ মিনিটে পর্তুগিজ তারকাকে তুলে নেন কোচ। এরপরেই উঠে যাওয়ার সময় অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন রোনাল্ডো। আর সেই জন্যই প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে তাঁকে শুরু থেকে নামাননি কোচ। এমনটাও শোনা গিয়েছিল। তবে সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে জানান স্যান্টোস। তিনি বলেন, ''শৃঙ্খলাজনিত সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। রোনাল্ডোর সঙ্গে অতীতে কী হয়েছে সেটাও দেখতে হবে।''
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৭৩ মিনিটে রোনাল্ডোকে নামান হয় তাঁকে। ৬-১ গোলে সুইৎজারল্যাণ্ডকে হারায় পর্তুগাল।