মোহনবাগান (Mohun Bagan) কর্তারা ময়দানের পরিবেশ কলুষিত করছেন। এমনটাই অভিযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের (East Bebgal)। অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন মোহনবাগান সচিবও। লাল-হলুদের অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দেবাশিস দত্ত। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় শুক্রবার। সেখানে জানানো হয়, ইমামি কর্তাকে (Emami Group) মেসেজ পাঠিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগের কথা। দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইস্টবেঙ্গল। রাজা গুহ বলেন, 'আমার সঙ্গে মোহনবাগান সচিবের সম্পর্ক বেশ ভালো। আপনারা সকলেই সেটা জানেন। তবে আমি কোনওদিন কোনও কর্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটতে চাই না। তবে এটা আমাকে বলতেই হচ্ছে, মোহনবাগান সচিব তাঁর ক্লাবের থেকে ইস্টবেঙ্গল নিয়ে বেশি চিন্তিত। সেটা ভালো। তবে তা করতে গিয়ে এমন কিছু কাজ তিনি করে ফেলছেন যাতে সৌজন্য আর রাখা যাচ্ছে না।'
বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির (Emami) অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বেশ কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অভিযোগ, 'মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ইমামি কর্তা আদিত্য আগারওয়ালকে সেই বিক্ষোভের ভিডিও পাঠিয়েছেন। আর সেখানে তিনি জানিয়েছেন, যারা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন, তাঁরা কেউই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক নন। আসলে দেবব্রত সরকারের লোক।'
পাল্টা জবাব দেবাশিসের
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস পাল্টা বলেন, 'আমার কাছে ভিডিও নেই। ফেসবুকে দেখেছি। তাই সেই ভিডিও পাঠানোর প্রশ্নই নেই।' ইস্টবেঙ্গলের নাম না নিয়েই দেবাশিস দত্ত বলেন, 'আমি চাই ওরাও চ্যাম্পিয়ন হোক। ভালো টিম করুক।' এরপর মোহনবাগান সচিব খোঁচা দেন ইস্টবেঙ্গলকে। তিনি বলেন, 'ওরা কী বলছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ময়দানে আঁকচা আঁকচি থাকবেই। কেউ যদি এমন কিছু করে থাকে তা তাদের রুচী। আমরা সাফল্য ধরে রাখতে চাইছি। ওরা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আসল হচ্ছে সাফল্য। আমি জানি না কাকে কাদের কোথায় পাঠিয়েছে। কোথায় কে আন্দোলন করছে তা অমূলক হয়ে যাবে।'
মোহনবাগান সমর্থকদেরও বার্তা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। রাজা গুহ আরও বলেন, 'আমরা মোহনবাগান সমর্থক ও মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছেও আবেদন করছি। তিনি আমাদের তিন প্রধানেরই পৃষ্ঠপোষক। আমরা ওনারও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যাতে ময়দান কলুষিত না হয়। মাঠের লড়াই যেন মাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে।' বিভিন্ন সময় রিমুভ এটিকের দাবিতে আন্দোলন করেছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। তবে সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের কোনও কর্তাই এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেননি। এমনটাই দাবি লাল-হলুদ কর্তাদের।