ক্লাব চালাতে গেলে প্রচুর টাকার প্রয়োজন টাকার। আর সেই টাকা জোগাড় করতেই ক্রাউড ফান্ডিং-এর ঘোষণা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal Club)। প্রথম প্রথম চলছিল ভালোই। কিন্তু সময় গড়াতেই দেখা গেল, যে পরিমাণ টাকা উঠেছে তাতে আইএসএল (ISL) মানের একজন ফুটবলারকেও সই করানো যাবে না।
সেই কারণেই এবার জেলায় জেলায় ঘুরতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। শুরুতেই তাঁদের লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ। এই দুই জায়গাতেই যথেষ্ট পরিমাণ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক রয়েছেন বলেই দাবি কর্তাদের। সারা বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে যাতে ভাটা না পড়ে সে ব্যাপারে লাল হলুদ কর্তারা সতর্ক। ক্লাবের সংগঠনকে সাজিয়ে তুলছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা শহরে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা ক্লাবের নির্দেশে গিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুরের টাউন ক্লাবে ক্লাবের এক প্রতিনিধি গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারই নাকি তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। সদস্যন সমর্থকদের কাছে আর্থিক সাহায্যন চেয়ে আবেদন করছেন কর্তারা। তবে শুধু টাকা দেওয়া নয় থাকছে সদস্য হওয়ার অফারও। তবে সদস্য হতে গেলে কত টাকা দিতে হবে তাও ঠিক করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আরও পড়ুন: বোরহাকে সই করাল ইস্টবেঙ্গলে, আগেই জানিয়েছিল bangla.aajtak.in
সদস্য হতে গেলে কত টাকা দিতে হবে সমর্থকদের?
নূন্যতম ৬০,০০০ টাকা দিতে হবে সদস্যপদের জন্য। সাধারণ সদস্যব হতে গেলে ৬০ হাজার টাকা এবং আজীবন সদস্যক পদের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হবে। একদিকে ক্রাউড ফান্ডিং আর অন্যদিকে সদস্য পদের টাকা। দুই আসবে ইস্টবেঙ্গলের অ্যাকাউন্টে। টাকা আনতে পারলে ক্লাবের পরি কাঠামো ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর্তারা। তারপর টাকা বাচলে ইনভেস্টরের পাশে দাঁড়িয়ে সিনিয়র দলের জন্য টাকা দেওয়া হবে। ফলে প্রচুর টাকার দরকার ক্লাবের।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের 'টার্গেট' ছিনিয়ে নিচ্ছে মুম্বই, কাকে সই করাচ্ছে তারা?
গত মরশুমে ২২ কোটি টাকা খরচ করেছিল ইমামি
গত মরশুমে ইমামি ২২ কোটি টাকার দল গড়েছিল। এটিকে মোহনবাগান ৬০ কোটি টাকার দল গড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু তাতেও কিছু লাভ হয়নি। বাজেট কিছুটা বাড়লেও তা মোহনবাগানের কাছাকাছি একেবারেই পৌঁছায়নি। এই মরশুমের দল গড়তে এখনও ৬ কোটি টাকা দরকার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, ‘ক্রাউড ফান্ডিং শুধু টাকা তোলা নয়, সদস্যে-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগও বাড়বে। আমরা তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছি। যে যার সামর্থ্য তেমন টাকা ক্লাবকে দিন। আমাদের এই আবেদন ধারাবাহিক ভাবে চলবে। পাশাপাশি আমরা স্পনসরও আনার চেষ্টা করব। তাতে ক্লাবের ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ও পরিকাঠামো তৈরি করতে সাহায্যন করবে।‘