এই মরশুমেও কি হতাশাই সঙ্গী হবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal Club) সমর্থকদের? চলতি মরসুমে শক্তিশালী দল গড়তে হবে। অংশ নিতে হবে ডুরাণ্ড কাপেও। তবে দল গঠনই এখন বিরাট প্রশ্ন। লাল হলুদের অন্দরে ক্রমেই তৈরি হচ্ছে অশন্তোষ। ঘটনাক্রম যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আবারও শক্তিশালী দলগঠন কার্যত অসম্ভব হতে চলেছে। চলতি মরশুম শুরু হবে ডুরাণ্ড কাপ দিয়ে। আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা ডুরান্ড কাপ। সেই টুর্নামেন্টের জন্য দল গঠনের কোনও প্রক্রিয়াই বাস্তবায়িত হয়নি এখনও।
কিছু ফুটবলারের সঙ্গে প্রি কন্ট্রাক্ট করা হয়েছিল। তাঁরাও ইস্টবেঙ্গলের ডামাডোল দেখে অন্য ক্লাবে চলে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান লগ্নিকারী সংস্থার গ্রুপ ডাইরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন,“এখনও কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। দ্রুত সবকিছুই নিষ্পত্তি হবে। নতুন সপ্তাহেই হয়ত ইতিবাচক খবর দেওয়া যাবে।”
শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের আশি শতাংশ শেয়ার পেতে আগ্রহী ইমামি গ্রুপ। আদিত্য আগরওয়াল আরও বলেন, “শেয়ার নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে। আমরা চুক্তি স্বাক্ষর অবশ্যই করব। কিন্তু মত পার্থক্য থাকলে চুক্তি বাতিল হতে পারে। আমি কোনও ভবিষ্যতবাণী করতে চাই না। আমরা এখনও একশো শতাংশ ইতিবাচক। নতুন সপ্তাহে ছবি পরিস্কার হয়ে যাবে।”
আদিত্য আগরওয়ালের ফের বিবৃতি ইস্টবেঙ্গলের নতুন মরশুমের দলগঠনে অনিশ্চয়তা বাড়াল। লগ্নিকারী সংস্থা চুক্তির খসড়া পাঠালেও তা খতিয়ে দেখতে ক্লাব আরও কয়েকদিন সময় নেবে। এদিকে সামার ট্রান্সফার উইন্ডো প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এই অবস্থায় সবকিছু দ্রুত ঠিক হয়ে গেলেও শক্তিশালী দলগঠন করা লাল-হলুদ রিক্রুটারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শুধু তাই নয়, এখনও কোচের নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি কর্তারা। ফলে বিদেশী ফুটবলারদেরও ঠিক করা হয়নি। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে ইনভেস্টর পেলেও বিরাট সঙ্কটে লাল-হলুদ ক্লাব।