ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং করার কথা ঘোষণা করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সদস্য সমর্থকদের টাকা দেওয়ার আবেদন করেছিল লাল-হলুদ ক্লাব। সেই ডাকে দারুণ সাড়া মিলেছে বলে দাবি ক্লাব কর্তাদের। এই ক্রাউড ফান্ডিং (Crowd Funding) নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও দমতে নারাজ ক্লাব।
কত টাকা উঠল ক্রাউড ফান্ডিং-এ
ক্রাউড ফান্ডিং শুরু হওয়ার প্রথম দিকে দারুন সাড়া পাওয়া গিয়েছিল বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে দাবি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রের খবর, প্রথম দুই দিনেই প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উঠেছে বলে দাবি তাদের। যদিও এখনও অবধি ঠিক কত টাকা উঠেছে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। ক্লাব কর্তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা জানতাম এটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হবে। তবে পড়শি ক্লাবের কে কী বলল তা নিয়ে ভাবতে রাজি নই। কারণ আমাদের সমর্থকরাই প্রথম এমন উদ্যোগের কথা বলেছিল। তাদের কথা শুনেই এমনটা করা হয়েছে।‘
পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের সহসচিব আরও বলেন, ‘যে ভাবে ক্রাউড ফান্ডিং করা হচ্ছে, তাতে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। ইস্টবেঙ্গল সদস্যরা দারুণ ভাবে এই উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বিদেশে ক্রাউড ফান্ডিং বেশ জনপ্রিয়। আমরা সেই পথেই এগিয়েছি। সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি আমরা।‘
ইস্টবেঙ্গলে গত কয়েক বছর ধরেই খারাপ সময় চলছে। সেখান থেকে ক্লাব ঘুরে দাঁড়াবে বলে নিশ্চিত লাল-হলুদ কর্তা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই একটা খারাপ সময় চলছে। তবে দ্রুত এই সময় পাল্টে যাবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আমরা এখান থেকে বেরিয়ে আসবই।‘ সেই লক্ষ্যেই দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। একাধিক ফুটবলারের সই হয়ে গেলেও, নিয়মের জন্য এখনই সেই ফুটবলারদের নাম ঘোষণা করতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল।
শোনা যাচ্ছে, এই মাসের শেষের দিকেই কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত কলকাতায় চলে আসবেন। এরপর ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) পক্ষ থেকে সই করা ফুটবলারদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।