বিদেশের ক্লাবের মতো ক্রাউড ফান্ডিং-এর পথে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যদিও বাংলার ক্লাবগুলোর মধ্যে করোনা মহামারির (Covid-19) সময় ক্রাউড ফান্ডিং-এর পথে হেটেছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস (United Sports Club)। দারুণ সাড়া মিলেছিল। আর এবার সাধারণ সদস্য সমর্থকদের কাছ থেকে ক্লাবের পরিকাঠামো, স্পোর্টস ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
যারা অর্থ দান করবেন, ক্লাবের তরফ থেকে তাদের সংশাপত্র দেওয়া হবে। এর জন্য একটি আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রয়োজনে এই অর্থ সিনিয়র দলের কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে। সেটা যদিও ঠিক করবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল বোর্ড। প্রাথমিক ভাবে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে অ্যাকাডেমি এবং ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে। তবে ইনভেস্টর থাকতে কেন নতুন করে ক্রাউড ফান্ডিং-এর পথে হাঁটতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে? আসলে, ইনভেস্টর হলেও ইমামির খুব বেশি টাকা লাল-হলুদের দল গঠনে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই জন্যই এই পথে যেতে বাধ্য হলেন ক্লাব কর্তারা। ইমামি যে টাকা খরচ করছে সেই বাজেটের দল গড়ে মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াই করা বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন: লোবেরাকে পায়নি ইস্টবেঙ্গল, শেষমেশ ওড়িশা এফসি-তে স্প্যানিশ কোচ
যদিও সমর্থকদের একাংশের মতে, আসলে ইমামি কর্তাদের চাপে ফেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ক্লাব কর্তারা। মরশুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই, ইমামি কর্তাদের বাজেট বাড়াতে বলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা। সমর্থকদের একাংশ আবার ইমামির অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান। ক্লাব কর্তারাও পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এত কম টাকায় দল গড়া যাবে না। তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ট্রান্সফার মার্কেটে বারেবারে পিছিয়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: It's Official! আর নয় ATK, পয়লা জুন থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস
প্রথমে, কোচ হিসেবে সের্জিও লোবেরার নিয়োগ, আর তারপর অমরিন্দর সিং সহ একাধিক ফুটবলার সই করতে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়েছেন ইমামি কর্তারা। আর সেই জন্যই বিনিয়োগকারীদের আরও একবার হুঁশিয়ারী দিতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা। যাতে ট্রান্সফার মার্কেটে প্রথমার্ধে ভালো পারফর্ম করতে না পারলেও ইমামি কর্তারা দ্বিতীয়ার্ধে কিছু ভালো ফুটবলার তুলে ভালো দল গড়ার কাজে মন দেয়।