ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) গত মরশুমে ব্যর্থ হলেও দারুণ ফুটবল খেলেছিলেন নাওরেম মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh)। সমস্ত কিছুর মধ্যেও মহেশ বারেবারে নিজের জাত চিনিয়েছেন। আর সেই জন্যই ডাক পেয়েছেন ইগর স্টিম্যাচের জাতীয় দলে। দারুণ ফুটবল খেলেছেন ভারতীয় দলের হয়েও। এমন তারকা ফুটবলারকে প্রস্তাব দিল মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি এফসি। আর এর জেরেই টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। যদিও আগামী বছর অবধি তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
জাতীয় দলে দারুণ খেলে ইতিমধ্যেই ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীর প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন তরুণ এই তারকা। এত ভালো খেলার পরও ইস্টবেঙ্গল কেন জানাচ্ছে না তাঁরা মহেশকে রেখে দিচ্ছে? বিশেষ করে অন্য ক্লাবের থেকে যখন প্রস্তাব পাচ্ছেন মহেশ তখনও কেন তৎপরতা দেখানো হচ্ছে না? সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। যদিও কিছুদিন আগেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১১ জন ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সেই তালিকায় লালরিনজুয়ালা ছাংতের নাম থাকলেও, ছিল না মহেশের নাম। সেই জায়গা থেকে ধরে নেওয়াই যায়, তাঁকে রেখেই দিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
যদিও তাঁর সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। এর জেরেই চিন্তায় লাল-হলুদ সমর্থকরা। গত মরশুমে সাত গোল, জোড়া অ্যাসিস্ট করার পর ইগর স্টিম্যাচ জাতীয় দলের দল সাজানোর কথা ভাবতেই পারেন না। গত সিজনের এগারো জন তারকাকে বাতিল করলেও কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের নতুন করে সেজে উঠতে চলা ইস্টবেঙ্গলের রণকৌশলে যথারীতি ছিলেন মহেশ। তবে ট্রান্সফার সিজনে হঠাৎ করেই ইস্টবেঙ্গল সংসারে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে।
নন্দকুমার এবং বোরহা হেরেরা দুই উইং দিয়ে আক্রমণ করবেন। তা হলে মহেশকে খেলাতে হলে পজিশন বদলাতে হবে। পাশাপাশি দল গঠন প্রক্রিয়া শেষ করতে টাকার ঘাটতি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এই দুই ব্যাপারে চিন্তা করেই মোহনবাগানের তরফে নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মহেশকে।
তবে গোটা ব্যাপারটাই কোচের সিদ্ধান্তের উপর। ২০২০-তে কেরালা ব্লাস্টার্স-এ সই করার পরে তাঁকে লোনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুদেভা এফসি এবং তারপর ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন তরুণ মিডফিল্ডার। এবার কি তিনি ফের লোনে অন্য কোনও ক্লাবে যাচ্ছেন? এটাই এখন প্রশ্ন সমর্থকদের মধ্যে। তবে গত মরশুমে যে ভাবে তিনি খেলেছিলেন তাও চিন্তায় রাখছে কর্তাদের।