একের পর এক ভারতীয় তারকাকে সই করিয়ে নিয়ে শক্তিশালী দল গড়ার পথে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মন্দার রাও দেশাই, নিশু কুমারের পর এবার ভারতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডার চিঙ্গালসানা সিংকে (Chinglensana Singh) সই করাতে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদের রিক্রুটাররা।
যদিও শুধু ভারতীয় ডিফেন্ডার নয়, গোলরক্ষক প্রভসুকান সিং গিলকেও (Pravsukan Gill) নেওয়ার জন্য ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদে প্রত্যাবর্তনের পথে হরমনজ্যোত সিং খাবরাও। পরিকল্পনা করে দল গঠনে জোর দিচ্ছে লাল-হলুদ। গত মরশুমে গোলরক্ষক হিসেবে কনলজিৎ সিং ভালো খেললেও আরও এক ভালো গোলরক্ষককে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। শুধুমাত্র একজন গোলরক্ষকের উপর নির্ভর করে নতুন মরশুমে এগোতে নারাজ লাল-হলুদ। কেরল ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষককে অনেকদিম আগে থেকেই সই করাতে চাইছিল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে ভালো পারফরম্যান্সের পরে আইএসএলের দল কেরল ব্লাস্টার্সে সই করেছিলেন গিল। নতুন মরশুমে গোলরক্ষকের সমস্যা মেটাতে প্রথম থেকেই তৎপর লাল হলুদ রিক্রুটাররা।
অন্যদিকে হায়দরাবাদ এফসি থেকে চিঙ্গালসানাকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাচ্ছে লাল হলুদ। শক্তিশালী দল গঠনের কথা চিন্তা করেই ডিফেন্স মজবুত করতে চাইছে তারা। গত মরশুমেও ডিফেন্সের সমস্যা বেশ ভুগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কলকাতা লিগ শুরু হওয়ার আগে আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় চলে আসছেন কুয়াদ্রাতের সহকারী বিনো জর্জ। ইস্টবেঙ্গলের যে দল রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগে খেলেছিল তাদের নিয়েই কলকাতা লিগের প্রস্তুতি শুরু করবেন বিনো জর্জ।
ডিফেন্ডার মন্দার রাও দেশাইকেও সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ ক্লাব। এফসি গোয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসতে পারেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে লড়াইয়ে রয়েছে ওড়িশা এফসি-ও।
নতুন নিযুক্ত কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মেনেই দল গঠনের কাজে হাত লাগিয়েছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। এবার দেখে নেওয়া যাক, এখনও অবধি কেমন হল ইস্টবেঙ্গলের স্কোয়াড?
কেমন হল ইস্টবেঙ্গলের স্কোয়াড?
গোলকিপার
কমলজিৎ সিং, পবন কুমার
স্টপার
সার্থক গলুই, চুনলুঙ্গা, ইভান গঞ্জলভেস, নবি হুসেন খান, সুমিত রাঠি (নতুন)
সাইড ব্যাক
প্রীতম সিং, মোঃ রাকিব, উননিকৃষ্ণন, এডুইন ভান্সপাল (নতুন), নিশু কুমার (নতুন), হরমোনজ্যোৎ সিং খাবরা, মন্দার রাও দেশাই
মিডফিল্ডার
নাওরেম মহেশ সিং, শৌভিক চক্রবর্তী, মোবাসীর রহমান, সাউল ক্রেসপো (বিদেশী নতুন), বরজা হেরেরা (বিদেশী নতুন), অঙ্গুসেনা
ফরোয়ার্ড
ক্লেইটন সিলভা (বিদেশী), সিভেরিও (নতুন বিদেশী), নন্দকুমার (নতুন), ভি পি সুহের