এবারের আইএসএল-এও (ISL) একেবারেই ভাল জায়গায় নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গোল করার মতো ফুটবলারের অভাবে ভুগতে হচ্ছে লাল-হলুদকে। আর সেই সমস্যা মেটাতে এবার মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC) থেকে গুরকিরতকে সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ শিবির। তবে এখনই নয়, জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাঁকে সই করাতে চাইছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
এর আগেও মরশুমের শুরুতে গুরকিরতকে সই করানোর চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় সফল না হলেও, এবার শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাঁকে সই করাতে মরিয়া লাল-হলুদ। একাধিক বিদেশি স্ট্রাইকার থাকলেও তাঁরা গোল করতে পারছেন না। এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য বলতে শুধুই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌছতে পারা। সেই জায়গা থেকে গুরকিরতকে সই করিয়ে লাল-হলুদ যদি কিছুটা হলেও ভালো জায়গায় যেতে পারে কিনা সেটাই দেখার। প্রভসুকান, গুরসিমরতের মতই চন্ডীগর ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন তিনিও। টানা পাঁচ বছর অ্যাকাডেমিতে কাটানোর পর জাতীয় যুব দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই তারকা ফুটবলার। তবে, গুরকিরত ইন্ডিয়ান অ্যারোজে যখন খেলতেন তখন ডিফেন্ডার হিসাবে খেলতেন। তাঁর আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ দেখে কোচ ফ্লয়েড পিন্টো স্ট্রাইকারে নিয়ে আসেন। এরপরেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই স্ট্রাইকারকে। তিনি খেলেছেন মুম্বই সিটি এফসি-র হয়েও। ২০১৯-এ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অনুর্দ্ধ-১৮ দলের হয়ে টুর্নামেন্টের টপ স্কোরারও ছিলেন তিনি।
২০২০-২১ মরশুমে গুরকিরত ১১ ম্যাচ খেলেন আই লিগের ক্লাব ইন্ডিয়ান অ্যারোজের জার্সিতে। এরপরেই প্রতিশ্রুতিবান ফরোয়ার্ডকে সই করিয়ে নেয় মুম্বই সিটি এফসি। গত মরশুমে দেশ বাকিংহাম ৮ ম্যাচ খেলেন গুরকিরত। ২০২৪ পর্যন্ত মুম্বইয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পাঞ্জাবি স্ট্রাইকারের। তবে তাঁকে সই করাতে হলে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই পরিমান ট্রান্সফার ফি দিয়ে লাল-হলুদ তাঁকে নিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।