
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। বড়দিনে তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হল বড় উপহার। লাল-হলুদ তাঁবুতে জমকালো অনুষ্ঠানে বরণ করে নেওয়া হল চ্যাম্পিয়নদের। দেওয়া হল ২৫ লক্ষ টাকার চেক। লাল-হলুদ উত্তরীয়, শতবর্ষের বিশেষ স্মারক, লাল-হলুদ গোলাপ দেওয়া হয় ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফদের।
কেক কেটে সেলিব্রেশন করেন ফুটবলাররা। ক্লাব সভাপতি মুরারীলাল লোহিয়া, সচিব রূপক সাহা, সহকারী সচিব ডাঃ শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত, ইমামি গ্ৰুপের ডাইরেক্টর সন্দীপ আগারওয়াল, ফুটবল অপারেশন হেড থাংবৈ সিংটো এবং হেড কোচ অ্যান্টনি আ্যন্ড্রিউজ।
কী বললেন ক্যাপ্টেন ফাজিলা?
অনুষ্ঠানে এসে অধিনায়ক ফাজিলা ইকওয়াপুট বলেন, 'আমাদের সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত ছিল এই প্রতিযোগিতা জেতা। কারণ আমরা সবাই মনপ্রাণ উজাড় করে দিয়েছিলাম সব খেলোয়াড়ই। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে হৃদয় ভাঙার পরও সবাইকে দল হিসেবে মন স্থির করতে হয়েছিল। আমরা ব্যাজের জন্য, পরিবার হিসেবে একসঙ্গে খেলেছি। পরিবার হিসেবেই আমরা এই ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলাম এএফসির হতাশা ভুলে গিয়ে সামনে যা আছে, তাতেই মন দিতে। তাই সবকিছুর জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।'
এএফসি-র অভিযানকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন সচিব রূপক সাহা। কাঠমান্ডুতে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতে ক্লাবকে গর্বিত করেছে বলেও জানান তিনি। সভাপতি মুরারী লাল লোহিয়া ক্লাবের এই ফুটবলারদের কীর্তির পর আরও সাফল্য আনার আর্জি জানিয়ে বলেন, 'দিল মাঙ্গে মোর। এবারেও আইডাব্লিউএল চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। ফের যেতে হবে এশিয়ার মঞ্চে।' ফুটবলাররাও উজ্জীবিত তাঁর ভোকাল টনিক পেয়ে।
ইমামি কর্তা সন্দীপ আগারওয়াল বলেন, যখন তিনি এই দলের দায়িত্ব নেন, তখন ফুটবল নিয়ে উৎসাহটা যথেষ্ট থাকলেও এ সম্পর্কে তেমন সম্যক ধারণা তাঁর ছিল না। তবে সাফল্যের সরণিতে দলের ঠিকানা কে নিশ্চিত করতে তিনি সর্বতোভাবে পাশে থাকার অঙ্গীকারকে পূর্ণ করেন বলে জানান। অধিনায়ক ফাজিলার গলায়ও ছিল ট্রফি জয়ের তৃপ্তির সুর।