দল গঠনের ব্যাপারে কোনও ভূমিকাই নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের! তিন মরশুম টানা ব্যর্থতার পর, ইমামি (Emami Group) কর্তাদের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের দলগঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল তা ঠিক। কিন্তু ফুটবল সংক্রান্ত সবটাই দেখছে ইমামি। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের কথাতেই যা পরিষ্কার হয়ে গেল শুক্রবার।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বাংলা ফুটবলের নিয়মক সংস্থা আইএফএ-এর (IFA) এক অনুষ্ঠানে এসে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা। প্রতিপক্ষ ক্লাবের সহ সচিব কুনাল ঘোষকে পাশে রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন দেবব্রত। তিনি বলেন, ‘দলটা কোচ এবং কোম্পানির লোকেরা করছে। কথাবার্তা চলছে, যেখানে যেখানে দরকার পড়ছে আমাদের সাথে কথা বলছে। দিনের শেষে তো পয়সাটাই সব। যেইরকম পয়সা দেবে সেইরকমই টিম হবে।‘ অর্থাৎ বাজেট সমস্যায় দল গঠনের কাজে যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা কার্যত মেনেই নিলেন দেবব্রত। জানিয়ে দিলেন, ইমামিই সবটা দেখছে। তাঁদের হাতে আর কিছু নেই।
ইমামি যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথা শুনে দল গড়ছে না সেটা বোঝা গিয়েছিল, পয়লা বৈশাখে বার পুজোর সময়ই। লাল-হলুদের কোচ নিয়ে শুরু হয়েছিল বিভ্রান্তি। ক্লাব কর্তারা মনে করেছিলেন, তাঁদের পছন্দের সের্জিও লোবেরার সঙ্গে চুক্তি করছে ইমামি। তবে লোবেরা ডিল ফাইনাল হওয়ার আগেই বাতিল হয়। কার্লস কুয়াদ্রাটকে কোচ করা হয়। যদিও এই ব্যাপারে অন্ধকারেই ছিলেন ক্লাব কর্তারা।
অন্যদিকে দেবব্রত সরকার আরও যোগ করেন, ‘আইএফএ-র এই প্রোগ্রামটাকে সাধুবাদ জানালাম এবং এই অনুষ্ঠানটা যেন প্রদ্যুত দত্তের নামে উৎসর্গ করা হয়। এটা আমাদের দাবি, মানবে কিনা আইএফএ বুঝবে। প্রদ্যুত দত্ত একাধারে ছিলেন সংগঠক এবং অপরদিকে ছিলেন দক্ষ প্রশাসক। আমরা যারা প্রদ্যুত দত্তের সঙ্গে কাজ করেছি, আমরা জানি মানুষটা ঠিক কিরকম। অতএব আমার মনে হয়, এই অনুষ্ঠানটিকে প্রদ্যুত দত্তের নামে উৎসর্গ করা হোক।‘
একটি বিষয় পরিষ্কার যে, লাল হলুদের দলগঠন নিয়ে এইমুহূর্তে পুরো বিষয়টিই ইমামির হাতে রয়েছে।