ইস্টবেঙ্গলের (East Brngal) বাজেট কি এই মরশুমে বাড়ছে? ক্লাব কর্তারা দাবি জানিয়েছিলেন ইমামি (Emami) কর্তাদের। সেই দাবি কি শুনেছেন বিনিয়োগকারীরা? সূত্রের খবর কিছুটা হলে বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের এবারের দল গঠনের খরচ। তবে সেই বাজেট খুব বেশি বাড়ছে না। ২২-৩০ কোটি টাকার মধ্যে দল গড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
তা হলে শক্তিশালী দল কী ভাবে গড়বে ইস্টবেঙ্গল? বিকল্প ব্যবস্থাও তৈরি করে রেখেছে লাল-হলুদ। বেশ কিছু কো স্পন্সরের সঙ্গে কথা বলে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। কিছু কো স্পন্সরের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আর এ ভাবেই বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে নিয়ে মজবুত দল গঠনের দিকে নজর দিচ্ছে লাল-হলুদ। টানা তিন বছর দল ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। এবার তারা ঝাঁপাতে চাইছে ট্রান্সফার মার্কেটে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কী সফল হবে? কারণ ভালো ফুটবলার সই করতে হলে টাকা দরকার। আর সেই টাকার জোগান নিয়েই চিন্তায় কর্তারা।
দলের বাজেট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কেন বার বার ব্যর্থ হতে হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে আত্মসমীক্ষা করেছে ক্লাব। আর তাতেই নাকি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বাজেটের বিষয়টা। মোহনবাগানের সঙ্গে তাদের দলগঠনে ২০ কোটি টাকার ফারাক রয়েছে বলেই মত কর্তাদের। আর সেটাই নাকি মাঠের পারফরম্যান্সে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। ব্যর্থতার দায় বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘ইমামি’র উপর চাপিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা।
প্রেস বিবৃতি দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জানিয়েছে, 'আইএসএলে (ISL 2023) যারা ট্রফি জেতার লড়াইয়ে থাকে তারা ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার দল তৈরি করে। কিন্তু ইমামি ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকার দল তৈরি করছে। দলগঠনে এই ২০ কোটি টাকার পার্থক্যটাই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকা দলগুলির সঙ্গে তাদের তফাত গড়ে দিচ্ছে। যারা টাকার ঝুলি নিয়ে নামছে তারাই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে।' এমনটাই দাবি ক্লাবের। বাজেট কম থাকায় ফুটবলারদের মানেও পার্থক্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
সেই পার্থক্য ঘোচাতে এবার আসরে নামছে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার একাধিক কো স্পন্সর এনে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে কিনা লাল-হলুদ ক্লাব।