ব্রাজিল পারেনি। তবে আর্জেন্টিনা পারল। নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ চারে উঠে গেল আর্জেন্টিনা (Argentina)। মেসি (Lionel Messi) ম্যাজিকেই এল জয়। একটা গোল করলেন আর তার আগে একটা গোল করালেন। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রেস করতে থাকে আর্জেন্টিনা। তবে গোল পেতে সেই মেসির ওপরেই ভরসা করতে হয় তাদের। ২-০ গোলে এগিয়ে গেলেও, ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে খেলা জমিয়ে দেয় ডাচরা। তবুও শেষরক্ষা হয়নি।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
কোয়ার্টার ফাইনালে ৩৫ মিনিটে গোল করে ফেলল আর্জেন্টিনা। নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্স ভাঙেন রাইট ব্যাক মলিনা। তিনি রান করে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। মেসি ঢুকে পড়েন তিন ডিফেন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে। মেসি, মোলিনা দারুণ পাস দেন। ওই তিন ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে। মোলিনার এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপে সাতটি অ্যাসিস্ট হয়ে গেল মেসির।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর অভাব মেটালেন, নেমেই হ্যাটট্রিক র্যামোসের: CR7-কি তাহলে অতীত?
৭৩ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। অ্যাকুনাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে গোল করে যান মেসি।
উইঘর্স্টের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। ৮৩ মিনিটে দারুণ হেডে গোল করলেন পরিবর্ত হিসেবে নামা এই ফুটবলার। শেষদিকে ম্যাচ নেশ উত্তেজক হয়ে ওঠে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মাঠের মধ্যেও। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররাই। তবে সেখান থেকে জিততে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনার। শেষ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়ে গোল শোধ করে ফেলেন ডাচ ফুটবলাররা।
বক্সের বাইরে বাজে জায়গায় ফ্রিকিক দিয়ে দেন মেসি। হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে গোল করে সমতা ফেরাল নেদারল্যান্ডস। বার্গুইসের ফ্রিকিক থেকে ছোট পাস খেলে গোল করে দিলেন উইঘর্স্ট। ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচের ফল ২-২।
টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। দারুণ কিছু সেভ করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।