গোকুলাম কেরল এফসি-র (Gokulam Kerala FC) বিরুদ্ধে লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। মহিলাদের জাতীয় লিগের (IWL) প্রথম ম্যাচে ২-৮ গোলে হারল লাল-হলুদ। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক গোল তুলে নিতে থাকে গোকুলামের মেয়েরা। সাবিত্রা ভান্ডারি (Sabitra Bhandari) এই ম্যাচে একাই শেষ করে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। মহিলাদের জাতীয় লিগের গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ইস্টবেঙ্গল। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। একের পর এক গোল খেয়েছেন সুজাতা করের (Sujata Kar) মেয়েরা।
ম্যাচ কঠিন হলেও ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক জাম্বালু তায়াং-এর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও গোকুলামের ফুটবলারদের থেকে ধারে ভারে অনেকটাই পেছনে থেকে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। একাই পাঁচ গোল সাবিত্রা ভান্ডারির। ২ মিনিট থেকেই একের পর এক গোল করে যেতে থাকেন গোকুলাম ফুটবলাররা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন রিম্পা হালদার ও তুলসি হেমব্রম। ম্যাচের ২২ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করেন সাবিত্রা। তখনই ৪ গোলে এগিয়ে গিয়েছে গোকুলাম। প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি গোকুলাম। তবে ব্যবধান কমান রিম্পা। দারুণ গোল করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুয়াদ্রাতের পরেই দুই তারকাকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল?
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল ভালো শুরু করে। একটা গোলও পেয়ে যায়। সেই সময়ই মনে হয়েছিল, ঘুরে দাঁড়াতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তবে তা হয়নি। তুলসি হেমব্রমের গোলের পর আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করতে থাকে গোকুলাম। ফের একের পর এক গোল খেতে থাকেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা। এর মাঝেই বল সেভ করেও গোলের মধ্যে সেই বল নিয়ে ঢুকে পড়েন লাল-হলুদ গোলরক্ষক জাম্বালু। কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সকলকেই সুযোগ দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন:ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সলমনের মেগা শো, কোথায় পাবেন টিকিট? দামই বা কত?
তবে এই বড় হারের ফলে মহিলাদের লিগে পরের ধাপে যাওয়ার আশা অনেকটাই কমে গেল ইস্টবেঙ্গলের। এই মরশুম শেষ হওয়ার পরে কোচ থাকবেন না সুজাতাও। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন।