সমস্যা আরও বাড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ইশান কিশানও চোটের জন্য বাইরে চলে যাওয়ায় পর সমস্যা আরও বাড়াল ক্যামেরন গ্রিন। তিনিও রোহিত শর্মার। এমনিতেই ২৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করাই একটা বিরাট ব্যাপার। তার ওপর আবার দলের ওপেনার আহত হয়ে বেরিয়ে যাওয়ায়।
ইশানের ঘটনাটি ঘটে গুজরাত টাইটান্স ইনিংসের ১৭ তম ওভার শুরু হওয়ার আগে। সেই সময় কিশান ক্রিস জর্ডানের কাছে চলে যান। হঠাৎ জর্ডানের কনুই কিষানের বাঁ চোখে আঘাত করে। শেষ পর্যন্ত বিষ্ণু বিনোদ কিষানের জন্য গ্লাভস পরে মাঠে নামেন। ব্যাট করতেও নামতে পারেননি তিনি। সাধারণভাবে ওপেনে নামলেও এদিন তাঁর জায়গায় নামলেন নেহাল ওহাদেরা। তিনিও বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না। আউট হতে হল ৩ বলে মাত্র ৪ রান করে। এমনকি দ্রুত আউট হলেন রোহিত শর্মাও। দুই ওপেনারের আউট হওয়ার পর সমস্যা বাড়ে।
অন্যদিকে গ্রিনও ব্যাট করতে নেমে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যামেরন গ্রিন। ৩ বলে ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনিও। হার্দিকের ১৪৬ কিলোমিটার গতিবেগে আসা বল গ্রিনের হাতে লেগে মুখে লাগে। শোনা যাচ্ছে, কিছুটা চামড়া উঠে গিয়েছে, ফিজিও মাঠে চলে আসেন। হাত বাঁকিয়ে কিছুটা ম্যাসাজ করেন তিনি। হাতের চারপাশে কিছু ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে দেন। আঘাত পেয়ে উঠে যেতে হয় গ্রিনকে।
যদিও পরে ব্যাট করতে নামেন গ্রিন। সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর দারুণ ব্যাটিং করেন গ্রিন। ৩০ রান করে আউট হন তিনি। ২০ বল খেলে ৩০ রান করেন গ্রিন।
৪৮ বলে ১০০ করেন গিল। প্রথম দুই ওভারের খেলা দেখে মনেই হয়নি কোনও ব্যাটার এই মেজাজে খেলতে পারেন। বল সিম করছিল, ভালো বাউন্স হচ্ছিল। একটা পাঞ্চ মারলেন অফ সাইডে। চার রান না পেলেও, পেয়ে গেলেন প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস। যাতে ভর করেই এত ভালো ইনিংস খেলেন গিল। টিম ডেভিডের জন্য সুযোগ এসেছিল। কঠিন ক্যাচ হলেও, ব্যর্থ হন ডেভিড, শেষে যদিও তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল। কিন্তু ততক্ষণে ৬০ বলে ১২৯ রান করে ফেলেছেন গিল। তিনি যখন আউট হলেন তখন ২ উইকেটে ১৯২ করে ফেলেছে GT।
দুই দলের কারা খেলছেন
MI: ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ক্যামরন গ্রিন, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, ক্রিস জর্ডান, পীযূষ চাওলা, জেসন বেহরেনডর্ফ, কুমার কার্তিকেয়া, আকাশ মাধওয়াল
জিটি: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), শুভমান গিল, বি সাই সুদর্শন, বিজয় শঙ্কর, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াতিয়া, রশিদ খান, মোহিত শর্মা, নুর আহমেদ, মহম্মদ শামি
শুরুটা ধীরেই করেছিলেন। তবে সময় যত গড়াল ততই হাত খুলে চালাতে থাকলেন। আর তার জেরেই আবারও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন শুভমন গিল। এটা এবারের আইপিএল-এ গিলের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেই জন্যই অরেঞ্জ ক্যাপ এখন তাঁর দখলে।