বর্ডার-গাভাস্কার (Border Gavaskar Trophy) ট্রফির প্রথম ম্যাচে নাগপুরে টার্নিং পিচে খেলা হলেও, পিচ নিয়ে অভিযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়া দল (Australia)। ভারতের বিরুদ্ধে (India vs Australia) অনুশীলনের জন্য সঠিক পিচ না দেওয়ার অভিযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে দিল্লি টেস্টে নামার আগে ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলা করার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই কৌশলও বিফলে যায়। দিল্লিতেও টেস্ট হারতে হয় অজিদের।
দিল্লি টেস্টে অস্ট্রেলিয়া যখন প্রথম ইনিংস খেলছিল, তখনও বোঝা যায়নি তাদের প্রস্তুতিতে খামতি থেকে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রান রান তুলে ফেলে তারা। উল্টে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৬২ রানে। অর্থাৎ ১ রানে হলেও এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়াই। কিন্তু গোটা ব্যাপারটাই ঘুরে যায় দ্বিতীয় ইনিংসে এসে। দিল্লি টেস্টে যে ভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছে অজিরা তাতে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন; এক ম্যাচ জিতলেই WTC ফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াই?
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে সুইপ শট খেলতে থাকেন অজি ব্যাটাররা। কখনও কখনও রিভার্স সুইপও মারতে থাকেন তাঁরা। তবে তাতে কোনও কাজই হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই এই দুই শট খেলতে গিয়ে বোল্ড অথবা এলবিডব্লিউ হন। অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়ও অস্ট্রেলিয়ার এই কৌশলের সমালোচনা করেছেন এবং এই কৌশল ব্যর্থ বলে ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পাঁচজন ব্যাটার বোল্ড হয়েছেন। দুইজন খেলোয়াড় এলবিডব্লিউ হয়েছেন। বাকি তিনজনের একজন স্টাম্পড এবং ২জন ক্যাচ আউট হন। উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, ম্যাথিউ রেনশ, প্যাট কামিন্স সহ অর্ধেকেরও বেশি অজি ব্যাটসম্যান সুইপ/রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন।
অস্ট্রেলিয়া এটাকে স্পিন মোকাবেলার অস্ত্র বানিয়েছিল, কিন্তু দিল্লির পিচে এই রণকৌশল কাজ দেয়নি। পিচে তেমন বাউন্স না থাকায় বল এমন শট ঠিকভাবে খেলতে পারেনি তারা। সুইপ বা রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে মিস করলে সরাসরি এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ম্যাচের পরে, সঞ্জয় মাঞ্জরেকর যখন রবীন্দ্র জাদেজাকে সুইপ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে এমন পিচে স্পিনের বিরুদ্ধে এই শট খেলা অপরাধের শামিল। চেতেশ্বর পূজারাও পরে বলেছেন, এমন পিচে এই শট খেলা কঠিন।
আরও পড়ুন: লাগাতার ব্যর্থ রাহুল, তবু কেন পাশে কেন দ্রাবিড়-রোহিতরা? উঠছে প্রশ্ন
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যালান বর্ডারও দলের হাল দেখে হতশ। ম্যাচের পর বলেন যে 'এই ব্যাটিং আমায় লজ্জা দিয়েছে। মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দল পুরোপুরি ভয় পেয়ে গিয়েছে। ফলে তাড়াহুড়ো করে এই ম্যাচটা খেলেছে। ব্যাটসম্যানরা একের পর এক সুইপ ও রিভার্স সুইপের মতো শট খেলছেন, কোনো ব্যাটসম্যানই ক্রিজে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেননি।