পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। পাঁচ দিনের টেস্টে তিনদিন এগিয়ে থেকেও শেষ দুই দিন খারাপ খেলে হারতে হল ভারতীয় দলকে। আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে না পেরেই হারতে হল ভারতীয় দলকে। এগিয়ে থেকে প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া নয় পিঠ বাঁচানোর খেলা খেলতে গিয়ে হেরেই গেল জসপ্রীত বুমরার ভারত। যার ফলে টেস্ট সিরিজ ড্র হয়ে গেল। এবার দেখে নেওয়া যাক পাঁচ কারণ, যার জন্য এজবাস্টন টেস্ট হারতে হল ভারতীয় দলকে
রোহিত শর্মার অনুপস্থিতি
কোভিড হওয়ার কারণে ভারতীয় দলে থাকতে পারেননি রোহিত। বুমরাকে কিছুটা বাধ্য হয়েই ক্যাপ্টেন করে ভারতীয় দল। অনভিজ্ঞ বুমরা এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও লাভ হয়নি। ফিল্ড প্লেসিং থেকে শুরু করে বোলিং কোথাও মনে হয়নি ভারত এই ম্যাচ জিততে মরিয়া। প্রথম ইনিংসে ভাল বল করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে সাধারণ বোলিং করতে দেখা যায় ভারতীয় বোলারদের।
ক্যাচ মিস
কথায় বলে ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস। আর সেটাই ফের প্রমাণিত হল এজবাস্টনে। দুই বার জনি বেয়ারস্টোকে আউট করার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় ভারতীয় দল। হনুমা বিহারী সহজ ক্যাচ ছাড়েন, তারপরেই উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্ত ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পান। বেয়ারস্টোর ক্যাচ নিয়ে নিতে পারলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারত। যখন বেয়ারস্টো ১৪ রানে ব্যাট করছিলেন তখন ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল তিন উইকেটে ১৫৩ রান। মহম্মদ সিরাজের বল বেয়ারস্টোর ব্যাটের কানায় লাগে। বল চলে যায় চতুর্থ স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে হনুমা বিহারী ক্যাচ মিস করেন। বেয়ারস্টোকে আউট করার আরও একটি সুযোগ ছিল। এবার ঋষভ পন্তের ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনিও এই সুযোগ হাতছাড়া করেন। পন্তের গ্লাভসের থেকে বল কিছুটা দূরে ছিল। তবে চেষ্টাটা ঠিক থাকলে ক্যাচটা নেওয়া যেত।
রাহুল দ্রাবিড়ের ভূমিকা
জসপ্রীত বুমরা অনভিজ্ঞ অধিনায়ক। তাঁকে সঠিক সময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেননি দ্রাবিড়। এমনটাই মনে করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রবি শাস্ত্রী বলেন, ''খেলোয়াড় জীবনে দ্রাবিড় যেমন রক্ষানাত্মক ছিলেন, ভারতীয় দলের কোচ হয়েও একই কাজ করতে চাইছেন তিনি।''
আরও পড়ুন: সচিন-নাসির থেকে জাহির-পিটারসেন, ভারত-ইংল্যান্ডের এই পাঁচ বিতর্ক মনে আছে ?
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
প্রথম ইনিংসে একটা সময় ৯৮ রানে ৫উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ঋষভ পন্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতকে পৌঁছে দেন নিরাপদ জায়গায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও ভারতের দাপট ছিল। আর সেই কারণেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়ে ভারতীয় দল। প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের লিড নিয়ে নেয় ভারত। সেখান থেকে আরও বড় রানের লিড নিতে পারত ভারত। তবে তা হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে ব্যর্থ বিরাট, বাদ যেতে পারেন দল থেকে?
ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার
শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, হনুমা বিহারী ও শ্রেয়াস আইয়ার। চার ব্যাটারই চূড়ান্ত ব্যর্থ। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেন চেতেশ্বর পূজারা। দুই ইনিংসেই দারুণ ব্যাট করেছেন ঋষভ পন্ত। জাদেজা প্রথম ইনিংসে ১০০ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করেন। টপ অর্ডার ব্যর্থ না হলে ভারতীয় বোলারদের হাতে আরও বেশি রান থাকত।