বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে সিলভার মেডেল জিতেছেন দিল্লি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের কন্যা। দিল্লি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের মেয়ে তুলিকা মান বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে জুডোতে রৌপ্য পদক জিতেছেন। জুডোকা পেইন্টব্রাশ ৭৮+ বিভাগে এই কীর্তিটি করেছে। এর আগেও জুডোতে আন্তর্জাতিক পদক জিতেছেন ২৩ বছর বয়সী তুলিকা। কিন্তু তাঁর জীবনের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে একটি কঠিন সত্য।
আরও পড়ুনঃ Amul-Britania নয়! বিস্কুট বিক্রিতে টানা ১০ বছর নম্বর ওয়ান এই সংস্থা
ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে তুলিকার বাবা খুন হন
তুলিকার মা অমৃতা সিং দিল্লি পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর। ২১ বছর আগে তার বাবাকে খুন করা হয়েছিল।তুলিকার তখন মাত্র ২ বছর বয়স। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে খুন হন তুলিকার বাবা সতবীর মান। তুলিকা দুই বোন। তাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বড়। তুলিকার মা অমৃতা সবসময় তার মেয়েকে আগলে রাখার পাশাপাশি পথ দেখাতেন।
তুলিকা অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করেন
তুলিকা মান সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সিডনি অ্যান্ড্রুজকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন। কিন্তু যে বাজির কারণে তিনি সিডনি অ্যান্ড্রুজকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন, ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ একই বাজি রেখেছিল এবং ১ পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও তুলিকাকে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয় এবং তাকে রৌপ্য পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
তুলিকাকে ব্যস্ত রাখতে ভর্তি করেছিলেন জুডোতে
তুলিকার মা অমৃতা মান আজতকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন যে, তাঁর স্বামী যখন খুন হন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। প্রথমদিকে কাজের ব্যস্ততার কারণে তুলিকাকে তার মা তার বাড়ির কাছে একটি ক্লাবে ভর্তি করেছিলেন। সেখান থেকে ঘাম ঝরিয়ে আজ তুলি দিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তুলিকার মা বলেছিলেন যে তিনি চেয়েছিলেন তুলিকা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করুক কিন্তু তুলিকার মনোযোগ জুডোর দিকে।