রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Chhallngers Bangalore) বিরুদ্ধে বড় জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। তবে ৮১ রানে এই জয়ের পরেও কাটা রয়ে গেল টপ অর্ডার নিয়ে। টি২০ ক্রিকেটে ওপেনিং পার্টনারশিপ একটা বড় ভূমিকা পালন করে। প্রথম ছয় ওভারে বড় রান তুলে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়ার কৌশলই যদি ধাক্কা খায় তবে বড় রানের ইনিংস গড়া সম্ভব হয় না। বৃহস্পতিবার গুরবাজ না থাকলে সমস্যায় পড়তে হত নাইটদের। পরের দিকে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ও শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur) বড় রানের ইনিংস না খেললে ফের চাপে পড়তে হত নাইটদের।
বেঙ্কটেশ আইয়ার আগের মরশুমে ওপেন করে ভালো ব্যাট করেছিলেন। তাই তাঁকে গুরবাজের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয়। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও একা আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন আফগান ব্যাটার। পেন করতে নেমে আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ৪৪ বলে ৫৭ রান। ৬টি চার এবং ৩টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেল পুরোপুরি ব্যর্থ। ৩ রান করে আউট ভেঙ্কটেশ। ০ রানেই ফেরেন মনদীপ সিং। ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা ১ রান করে আউট হন।
যদিও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন গুরবাজ। রিঙ্কু সিং-এর সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। একদিক ধরে খেলতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে মারতে থাকেন গুরবাজ। আফগান ব্যাটার আউট হওয়ার পর শার্দূল ঠাকুরের সঙ্গেও একইভাবে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন রিঙ্কু। ষষ্ঠ উইকেট তাঁদের জুটিতে উঠল ১০৩ রান। যদিও ইনিংসের শেষের দিকে বেধড়ক মারতে থাকেন রিঙ্কুও। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে মারলেন ২টি চার এবং ৩টি ছয়। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর, ২৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
তবে চিন্তা থাকলই। তিন ব্যাটারে দাপটে ইডেনে বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে ২০৪ রান করল কলকাতা। কিন্তু রোজদিন এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। বারে বারে এমন ইনিংস খেলা মুখের কথা নয়। মান বাঁচাতে বারবার অলরাউন্ডারদের কেন এগিয়ে আসতে হবে? এই মরশুমেও প্রথম থেকেই একই সমস্যা। প্রথম ম্যাচেও জিততে পারত কেকেআর। টপ অর্ডার ব্যাটাররা ভালো পারফর্ম করতে পারলে ২ ম্যাচ জিতে থাকতে পারত নীতিশ রানার দল।