IPL-এ কেকেআর-এর (Kolkata Knight Riders) হয়ে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ লিটন দাস (Litton Das)। দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিরুধে ব্যাট হাতে আউট হলেন মাত্র ৪ রান করে। আর ফিল্ডিং করতে নেমে, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে একের পর এক মিস। যেন অ্যাকশন রিপ্লে দেখা গেল বৃহস্পতিবারের ম্যাচে।
দুইবার স্টাম্পিং মিস
মাত্র ১২৭ রান হাতে নিয়ে বল করতে এসে নিজেদের কাজটা ভালো ভাবেই করছিলেন নাইট বোলাররা। তবে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে নিজের কাজটা করতে ব্যর্থ হন লিটন। এ দিন, গুরবাজের জায়গায় বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল দলে। তবে এরপরের ম্যাচগুলোতেও তিনি সুযোগ পাবেন কিনা সেটা বলা বেশ কঠিন। একটি ক্যাচ মিস করলেন। দু’টি সহজতম স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করলেন। শেষদিকে ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যাওয়া দিল্লির বিরুদ্ধে ওই দুই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিতেও যেতে পারত কেকেআর। কারণ সেক্ষেত্রে ফিরে যেতে হত দিল্লির শেষ স্বীকৃত ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলকে। দুইবার তাঁকে আউট করার সুযোগ পেলেও একবার ঘাবড়ে গিয়ে বল ধরতে না পারায়, আর আরেকবার বল ধরেও সময় মতো উইকেটে লাগাতে না পারার খেশারত দিতে হল কেকেআর-কে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে চারটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রহমানুল্লাহ গুরবাজের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পান বাংলাদেশের লিটন দাস, লকি ফার্গুসনের জায়গায় ইংল্যান্ডের জেসন রয়কে দলে নেয় কলকাতা। প্রথম একাদশে জায়গা পান মনদীপ সিং ও কুলবন্ত কেজরোলিয়া। অন্যদিকে, প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। অভিষেক পোড়েল ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় প্রথম একাদেশ আসেন ফিলিপ সল্ট ও অভিজ্ঞ জোরে বোলার ইশান্ত শর্মা।
লিটন ব্যর্থ হলেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন জেসন রয়। তিনি ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস না খেললে আরও বড় সমস্যায় পড়তে হত কেকেআর-কে। ব্যাটিং ব্যর্থতা যদি হারের প্রথম কারণ হয়, তবে দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই লিটনের স্টাম্পিং ও ক্যাচ মিস।
দিল্লি ক্যাপিটালস দল:
প্লেয়িং ইলেভেন: ডেভিড ওয়ার্নার (ক্যাপ্টেন), ফিলিপ সল্ট (উইকেটকিপার), মিচেল মার্শ, মনীশ পান্ডে, অক্ষর প্যাটেল, আমান হাকিম খান, ললিত যাদব, কুলদীপ যাদব, অ্যানরিচ নর্টজে, ইশান্ত শর্মা, মুকেশ কুমার
কেকেআর দল
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ভেঙ্কটেশ আইয়ার, লিটন দাস, জেসন রয়, সুনীল নারিন, নীতীশ রানা, রিংকু সিং, মনদীপ সিং, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, উমেশ যাদব, কুলবন্ত খেজরোলিয়া।
পাঁচ সাব: অনুকূল, বৈভব, ওয়েইস, সুয়শ এবং জগদীসান।