দারুণ ছন্দে নবীন উল হক। এলিমেনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে চার উইকেট তুলে নিলেন আফগান বোলার। যদিও রহিতদের রানের গতি তাতে কমেনি। চিপকে স্লো উইকেটে লখনউ-এর বোলিং নিয়ে রিতিমত ছেলেখেলা করলেন মুম্বই ব্যাটাররা। তবে লখনউ বোলারদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেন নবীন। সূর্যকুমার ও গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ক্যামেরন গ্রিনের উইকেট তোলার পাশাপাশি আরও দুই উইকেট। তাঁর আচরন নিয়ে যতই বিতর্ক হোক। মাঠের ভেতরে দাপিয়ে বোলিং করছেন এই আফগান।
এদিন চার ওভার বল করে ৩৮ রান দিলেও চার উইকেট নেন। তাঁর সঙ্গে ভালো বোলিং করেন ইয়াশ ঠাকুরও। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। উইকেট নিলেও বেশি রান দিয়ে ফেলেন লখনউ বোলাররা। মহসিন খানকে দিয়ে ৩ ওভার বল করালেও ২৪ রান দেন। একটা উইকেটও পেয়েছেন তিনি। তবে নবীন উল হক সঠিক সময়ে ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হতে পারত লখনউকে। মাত্র ২৩ বল খেলেই ৪১ রান করেন তিনি। মাত্র ২০ বলে ৩৩ রান করা সূর্যকুমার যাদবের উইকেটও নেন তিনি।
শুরু থেকেই বেশ আক্রমণ করতে থাকেন মুম্বই ব্যাটাররা। শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও আক্রমণের গতি কমান্নি ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। বাউন্সার দিলেই তা কিপারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন স্কাই (সূর্যকুমারকে যা ভলে ডাকেন সতীর্থরা)। অন্যদিকে মেরে খেলছিলেন গ্রিনও। তাঁরা জানতেন এই স্লথ উইকেটে পরে ব্যাট করতে নেমে বড় রান করতে অসুবিধা হবে লখনউ ব্যাটারদের।
তাই রান যতটা বাড়িয়ে নেওয়া যায় ততই চাপে পড়বে লখনউ। আর সেই কাজটাই শেষ করলেন নেহাল ওয়াসেহরা। ১২ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। ক্রিস জর্ডন আরও একটু ভালো খেলতে পারলে ২০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারত মুম্বই। তবে তিনি আউট হলেন ৭ বলে ৪ রান করে।