বজরং পুনিয়া এবার যোগ দিলেন আজতকের Jai Ho Sitaron Ka Samman অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন যে যে টুর্নামেন্টে আমি অংশগ্রহণ করেছি, আমি প্রথম স্থানে পদক জিতেছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল তার এক ছেলে কুস্তিগীর হবে। আমি ৭ বছর বয়সে কুস্তি শুরু করি। রেসলিং শুরু করার কোনও বয়স নেই। কিন্তু আপনি যত কম বয়সে শুরু করবেন, ততই এটি উপকারী হবে।
বিশ্বে নম্বর ১ কুস্তিগির হিসাবে ছিলেন বজরং পুনিয়া। তবে এবার অলিম্পিক গোল্ডই একমাত্র লক্ষ্য তাঁর। ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন বজরং। তবে সেটাটে শুধু সন্তুষ্টি নেই ভারতীয় কুস্তিগিরের।
চোট থাকা সত্ত্বেও লড়েছিলেন বজরং
চোট থাকা সত্ত্বেও দারুণ লড়াই করেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। বজরং নিজের সেমিফাইনালে হারের পর চোট পেয়েছিলেন। তবে তিনি কোনওভাবেই কোনও কিছু পায়ে লাগাননি। আর সেই ভাবেই খেলতে এসেছিলেন। তবে সেটা পায়ো কোনও কিছু না লাগানো আরও বড় চোট পেতে পারতেন তিনি। তবে সেই নিয়ে ভাবেননি তিনি, আর সেই অবস্থাতেই জয় পেয়েছেন বজরং। এমনটাই এবার জানালেন তিনি।
বজরং পুনিয়া বলেন, আমি যত এগিয়েছি, মানুষের প্রত্যাশাও তত বেড়েছে। এবারের অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতার মতো মানুষের আশা আরও বেড়ে যেত যে পরের বার তাদের রৌপ্য পদক জিততে হবে। নিজের কাছ থেকে প্রত্যাশাও বেড়েছে। সবার সমর্থন পেয়েছি। বজরং বলেন, আমাদের অনেক খেলোয়াড় এই অলিম্পিকে ভালো করতে পারেনি। হয়তো চাপের কারণে এমনটা হয়েছে। কিন্তু আমি কখনও চাপের মধ্যে খেলি না। আমার মাথায় একবারও আসেনি যে আমি পদক নিয়ে আসব।
বজরং পুনিয়া বলেন, তিনি মিলখা সিংহের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তিনি বলেন,''আমিও একটি অনুষ্ঠানে তার সাথে দেখা করেছি। আমি ওনাকে দেখে খুশি হলাম যে তিনি আমাদের চেনেন। এত বড় একজন কিংবদন্তি। তিনি আমার সুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।''
একই সঙ্গে বজরং পুনিয়া নিজের স্ত্রীকে উপদেশ দেন কুস্তি নিয়ে। কারণ বজরংয়ের স্ত্রী একজন কুস্তিগির। আর সেই নিয়ে তাঁর পরিবারেও আলোচনা হয় এই বিষয়ে। আর সেখান থেকেই এবার দেশের অন্যতম সেরা হয়ে উঠেছেন বজরং।