Advertisement

Kamarhati Lynching: 'দাদাকে ফাঁসাচ্ছে দলের লোকরাই...' গণপিটুনি কাণ্ডে দাবি কামারহাটির জয়ন্তর ভাইয়ের

আড়িয়াদহ গনপিটুনি কান্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা জয়ন্ত সিং (Jayanta Singh)। নতুন করে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিজেপি-র (BJP) পক্ষ থেকে আরও একটি ভিডিও সামনে আসায়। অভিযোগ এর আগেও গণপিটুনির (Mob Lynching) ঘটনায় জড়িত ছিলেন শাসক দলের এই নেতা। যদিও জয়ন্তর ভাই কলকাতা ময়দানের পরিচিত গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং (Priyant Singh) তা মানছেন না। গোটা ঘটনায় তাঁর দাদার জড়িত থাকার সমস্ত অভিযোগই মানতে নারাজ তিনি।

জয়ন্ত সিং ও সেই ঘটনা
জাগৃক দে
  • কলকাতা,
  • 09 Jul 2024,
  • अपडेटेड 5:16 PM IST

আড়িয়াদহ গনপিটুনি কান্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা জয়ন্ত সিং (Jayanta Singh)। নতুন করে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিজেপি-র (BJP) পক্ষ থেকে আরও একটি ভিডিও সামনে আসায়। অভিযোগ এর আগেও গণপিটুনির (Mob Lynching) ঘটনায় জড়িত ছিলেন শাসক দলের এই নেতা। যদিও জয়ন্তর ভাই কলকাতা ময়দানের পরিচিত গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং (Priyant Singh) তা মানছেন না। গোটা ঘটনায় তাঁর দাদার জড়িত থাকার সমস্ত অভিযোগই মানতে নারাজ তিনি।

bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভবানীপুর গোলরক্ষক বলেন, 'কোনও ভিডিওতেই আমি দাদাকে দেখতে পাচ্ছি না। ফলে দাদাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যে মানুষটা কোথাও থাকছে না, কোনও গন্ডগোলে থাকছে না তাও বলা হচ্ছে জয়ন্ত সিং আছে। নিশ্চয়ই কোনও ব্যাপার আছে, যে কারণে আমার দাদাকে টার্গেট করা হচ্ছে।' কিছুটা সময় নিয়ে তিনি আবার বলতে শুরু করেন, 'অরিত্র ঘোষ (বুম্বা) যে চারিদিকে বাইট দিচ্ছে সে তো নিজেই জেল খেটেছে।' 

এই অরিত্র আসলে কে? কী তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়? কেন সে 'টার্গেট' করেছে জয়ন্তকে? এই তিন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়ন্ত জানান, 'অরিত্র আমাদের সঙ্গে তালতলা ক্লাবেই থাকত। আমরা এই ক্লাবে খেলাধুলো নিয়েই থাকি। পরে ও বেরিয়ে যায়। অরিত্রও দাদার মতোই তৃণমূল করে।' তবে এই ঘটনার পর থেকে কোনও নেতাই পাশে দাঁড়াননি বলে জানিয়েছেন প্রিয়ন্ত। 

মূলত ক্লাবের দখল নিয়েই এই বিবাদ। আর তার জেরেই জড়িয়ে গেল তাঁর দাদার নাম। এমনটাই মনে করেন বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জেতানো গোলকিপার। তিনি বলেন, 'ক্লাবটা ভাল করে চলছে। অনেক কাজ হচ্ছে। ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে তাতে অনেকের রাগ হয়েছে। তাই দাদাকে ফাঁসিয়ে ক্লাবটার দখল নেওয়া।' ভিডিওর ঘটনা সম্পর্কে প্রিয়ন্ত বলেন, 'ঘটনাটা অনেকদিন আগের। এ ঘটনাটা আমি শুনেছিলাম। তবে যে ভিডিও দেখছি, সেখানে আমার দাদা নেই। শুনেছিলাম, একজন চোরকে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সে কিছু বলতে চাইছিল না। সেই সময়কার ঘটনা। এখানে কারা ছিল সেটাও জানি না। শুধুই শুনেছি।' বিজেপি-র অভিযোগ জয়ন্ত নাকি বিধায়ক মদন মিত্রের খুব ঘনিষ্ট। এমনটা যদিও মানতে নারাজ প্রিয়ন্ত। আলাদা করে বিধায়ক তাঁর দাদাকে ভালবাসেন এমন অভিযোগ শুনে প্রিয়ন্ত বলেন, 'যদি বিধায়কের এত কাছের হত, তা হলে আমার দাদা কি নির্দোষ হলেও জেলে থাকত?'   

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement