Advertisement

৩০ বছর আগে কলকাতায় এসে পায়ের জাদুতে মহানগরীর মন কেড়েছিলেন কপিল

শুধু ফুটবল নয় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পি সেন ট্রফিতেও খেলেছিলেন কপিল। সঙ্গে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। এই ট্রফির ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জাভগল শ্রীনাথের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন কপিল ও সচিন।

কপিল দেব
জাগৃক দে
  • ,
  • 06 Jan 2022,
  • अपडेटेड 6:01 PM IST
  • যুবভারতীতে ফুটবল খেলেছিলেন কপিল
  • কপিলে মুগ্ধ ইস্টবেঙ্গল কর্তা

কপিল দেব ক্রিকেটার হিসেবে কত বড় মাপের তা তো প্রায় সকলের জানা। কিন্তু ফুটবলার হিসেবেও তিনি যে বেশ ভাল তা অনেকেরই অজানা। জন্মদিনে কপিল দেবের কথা বলতে গিয়ে আজতক বাংলাকে এমনই গল্প শোনালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। ১৯৯২ সালে যুবভারতীর ৫০হাজার দর্শকের সামনে লাল-হলুদ জনতার নয়নের মনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক। দেবব্রত সরকার বলেন, '' একটা মানুষের কমিটমেন্ট কি জিনিস সেটা আমি দেখেছিলাম। একবার তো গোল করার মত জায়গায় চলে এসেছিল। গোল করতে না পেরে কি আফসোস। ও যেন পেশাদার ফুটবলার।''

লাল-হলুদ জার্সিতে কপিল। ছবি সৌজন্যে: এসসি ইস্টবেঙ্গল

কিছুটা থেমে লাল-হলুদ কর্তা আবারও বলেন, '' কপিল নিজেকে পারফর্মার বলে মনে করে। পেশাদার তো বটেই কিন্তু যাই করুন সেখানে একেবারে ১০০ শতাংশ দিয়েছেন। আমার মনে হয় ওঁর থেকে সকলের শেখা উচিত। খেলার আগে বা পরে কাউকে নিজের সামনে ঘেষতে দেয়নি। নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কোনও ভাবেই যাতে অসুস্থ না হয় সেই দিকে নজর রেখেছে। এটাই কপিল। আমি আবেদন করব সকলকে ওঁকে দেখে শিখুন।''


দুই বছর আগেই ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসেছিলেন কপিল। সেখানে ফের সেই ম্যাচের কথা প্রসঙ্গে কপিল বলেন, ''আমি ওইদিন প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। বোর্ডের তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। আমি যদি চোট পাই তবে সমস্যা হতে পারে। তবে আমার কিছু হয়নি। দারুন লেগেছিল অত মানুষকে একসঙ্গে দেখে।'' 
তবে শুধু ফুটবল নয় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পি সেন ট্রফিতেও খেলেছিলেন কপিল। সঙ্গে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। এই ট্রফির ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জাভগল  শ্রীনাথের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন কপিল ও সচিন। সেই ম্যাচের স্মৃতিও অমলীন দেবব্রত সরকারের কাছে। তিনি বলেন, ''শ্রীনাথ দারুন বল করছিল। খুব বেশি রান করতে পারেনি সচিন। আউট হয়ে যায়। তখন কপিল নেমে ধরে ধরে খেলে ম্যাচটা বের করে। খুব ভাল ব্যাট করেছিল সেদিন।''     

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement