হার দিয়েই আইএসএল অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল (East Brngal)। জেতার মতো খেলেওনি তারা। সুমিত পাসি বা অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে দেখে মনে হচ্ছিল পার্কে ঘুরতে এসেছেন। দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। পাস দিলেও সেটা মিস। ৭২ মিনিটে যে গোলটা খেল ইস্টবেঙ্গল তার ক্ষেত্রে যদিও অনেকটাই দায়ী করা যায় গোলরক্ষক কমলজিতকে। এই বয়সেও যে অসাধারণ দক্ষতায় বল বাড়িয়ে দেন হরমনজিৎ সিং খাবরা। বলটা মিট করেই গোলে শট আদ্রিয়ান লুনার। বল ঢুকে যায় জালে। একটু আগে বেরিয়ে এসেছিলেন গোটা ম্যাচে দারুণ খেলা কমলজিত।
দ্বিতীয় গোল কালিউজনির। ৮৩ মিনিটে নিজের অর্ধে বল ধরে চার ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিয়ে দারুণ গোল করেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই গোল পেলেন ইউক্রেনিয়ান এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়েও মাঠে রিচা, তবু পাকিস্তানের কাছে হার হরমনপ্রীতদের
শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেয়েই গোলের ব্যবধান কমান অ্যালেক্স লিমা। ক্লেইটন সিলভার সেট পিস কেরলের ডিফেন্সে ডিফ্লেক্ট হয়ে লিমার পায়ে চলে আসে। বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ান বতাজিলিয়ান। ৮৯ মিনিটে যদিও ব্যবধান ফের বাড়িয়ে নেন কালিউজনি। পেনাল্টি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে অসাধারণ ভলিতে গোল করে যান তিনি। এক্ষেত্রে যদিও কিছু করার ছিল না লাল হলুদের গোলরক্ষকের।
আরও পড়ুন: ফের ফুটবল মাঠে অশান্তি, আর্জেন্টিনায় মৃত ১
ম্যাচ হারতে হচ্ছে বুঝতে পেরে কার্যত হাতাহাতি শুরু করে দেন ইস্টবেঙ্গলের জেরি। রাহুল কেপির সঙ্গে মারামারি করলেও কার্ড দেখতে হয়নি তাঁকে।
দল গঠনের ত্রুটি, ফিটনেস সমস্যা সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বিবর্ণ। রক্ষন সামলে এক পয়েন্ট তুলে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল কনস্টানটাইনের। কিন্তু শুধুমাত্র রক্ষন সামলে হলুদ জার্সির আক্রমনের চাপ সামলানো কঠিন। তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন কেরলের ফুটবলাররা। জেসেল, লুনা, সাহালরা মাঝমাঠে সউভিকদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। প্রথমার্ধেই একাধিক গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা। তবে তা না হওয়ায় লজ্জা কিছুটা কমল তা বলা যায়।