প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে সুযোগ পেয়ে গেলেও সোনার সুযোগ হেলায় হারান লাল-হলুদ ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভা। তারপর থেকেই দাপট শুরু করে মোহনবাগান। একে তিন গোল তুলে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল এক গোল ফেরত দিলেও তা জয়ের জন্য বা ১ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৩-১ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে বদলে যায় ইস্টবেঙ্গল। দুই পরিবর্তন আনেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। আর তাতেই আক্রমণে ফেরে লাল-হলুদ। একটা গোলও শোধ করে তারা। সউল ক্রেসপোর গোলে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল।
এদিনের ডার্বিতে প্রথম দুই গোলের ক্ষেত্রেই অবদান সেই প্রেত্রাতোসের। রবিবারের ডার্বিতে যদিও প্রথম সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলই। ১২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করেন ক্লেইটন সিলভা। নিজেই শট নিতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে শট বাঁচান বিশাল কাইত। তারপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লাল-হলুদ।
২৭ মিনিটে প্রথম গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রভসুকান গিলের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। পেত্রাতোসের ডানদিক থেকে নেওয়া শট কোনওমতে গিল বাঁচালেও তা বিপদের বাইরে করতে পারেননি বল গিয়ে পড়ে কামিন্সের পায়ে। ট্যাপ করে গোল করে যান বিশ্বকাপার। তেব একটা গোল নয়, প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। পেত্রাতোস ৩৭ মিনিটে ফের গোল করান লিস্টন কোলাসোকে গিয়ে। এক্ষেত্রেও তাঁর শট বারে লাগে। ফিরতি বল ফের পান পেত্রাতোস। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা লিস্টনকে পাস দিলে তিনিও ট্যাপ করে বল জালে ঢোকান।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। নন্দাকুমারের বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসায় সুযোগ পায় সবুজ-মেরুন। গোল করতে ভুল করেননি পেত্রাতোস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটনের ক্রস বুকে রিসিভ করে গোল করে যান। এরপর সুযোগ পেয়েছিলেন ক্লেইটন। তবে বিশাল ফের সেভ করেন। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে লাল-হলুদ। দিশেহারা অবস্থা হয় মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। তবে গোল খায়নি তারা। ফলে সমস্যা হয়নি হাবাসের।