Advertisement

Diego Maradona: সে বার বিশ্বকাপে গায়ে নামাবলী পরেছিলেন মারাদোনা, কলকাতার গিফট

বরাবারই আর্জেন্টিনার সমর্থক তরফদার পরিবারের সকলেই। তাই সামনে থেকে স্বপ্নের নায়ককে দেখে নামাবলি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই নামাবলি পরে ছবিও তোলেন ফুটবলের রাজপুত্র।

নামাবলি গলায় মারাদোনা, বিশ্বকাপ হাতে অমিয় তরফদার ছবি সৌজন্যে- শেখর তরফদারনামাবলি গলায় মারাদোনা, বিশ্বকাপ হাতে অমিয় তরফদার ছবি সৌজন্যে- শেখর তরফদার
জাগৃক দে
  • কলকাতা,
  • 14 Nov 2022,
  • अपडेटेड 1:55 PM IST
  • জয়দেবের মেলা থেকে কেনা হয়েছিল নামাবলি
  • স্মৃতিচারনায় শেখর তরফদার

১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেটা আজও অনেকের কাছেই মারাদোনার বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপেই বাঙালি এক চিত্র সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মারাদোনার। বলা ভাল, বেশ কাঠখড় পুরিয়ে মারাদোনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান প্রখ্যাত চিত্র সাংবাদিক অমিয় তরফদার। বরাবারই আর্জেন্টিনার সমর্থক তরফদার পরিবারের সকলেই। তাই সামনে থেকে স্বপ্নের নায়ককে দেখে নামাবলী উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই নামাবলি পরে ছবিও তোলেন ফুটবলের রাজপুত্র।

মারাদোনা প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াত অমিয় তরফদারও। তবে স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন তাঁর ভাই শেখর তরফদার। bangl.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''জয়দেবের মেলায় গিয়েছিলাম সেই বছর। সেখা থেকেই দুটো নামাবলী কিনে আনি। একটা আমার মায়ের জন্য, আর একটা এমনিই। তবে সেই নামাবলী যে মারাদোনার গায়ে উঠবে তা ভাবিনি। বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নামার আগে খুব কষ্ট করে দাদা মারাদোনার কাছে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে ছবিটা তোলে।''

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপ হাতে মারাদোনা

মারাদোনার জন্য ধুতি পাঞ্জাবিও নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার এই চিত্র সাংবাদিক। যদিও সে বার ছবি তোলার সুযোগ হয়নি। অমিয় তরফদারের দাবি, ধুতি পাঞ্জাবি পরেছিলেন মারাদোনা। অমিয় বলেন, ''আসলে ছবি নেই তাই এ নিয়ে কাউকে কিছু বলি না। তবে ধুতি পাঞ্জাবি পরেছিলেন মারাদোনা। আমাকে দাদা ওখান থেকে সেটা জানান। ইস ছবিটা থাকলে যে কী ভাল হত।''

গোটা বিশ্বজুড়ে প্রচুর বিশ্বকাপ, অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস কভার করেছেন অমিয় তরফদার। প্রতি বছরই ফুটবলারদের জন্য নিউমার্কেট বা বাংলার অন্য কোনও প্রান্ত থেকে গিফট নিয়ে গিয়েছেন। সেই গিফট তুলে দিয়েছেন প্রিয় ফুটবলারের হাতে। তবে ফ্যান হিসেবে মারাদোনার হাতে তুলে দেওয়া গিফট একেবারেই স্পেশাল। গোটা তরফদার পরিবারের কাছে তা বিরাট গর্বের।         

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement