প্রায় ২০ বছর পর পেশাদার বক্সিংয়ে ফিরলেন মার্কিন কিংবদন্তি বক্সার মাইক টাইসন। তবে তাঁর প্রত্যাবর্তন সুখকর হল না। জেক পলের বিরুদ্ধে ৭৪-৭৮ ব্যবধানে পরাজিত হলেন টাইসন। জেককে বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা। প্রথম দুই রাউন্ডে টাইসনই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু বাকি ছয় রাউন্ডে পিছিয়ে ছিলেন। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, জ্যাক আর টাইসনের মধ্যে বয়সের ফারাক ৩০ বছরের। ৫৮ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও টাইসন শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়েননি।
পেশাদার বক্সিং কেরিয়ারে এটি মাইক টাইসনের সপ্তম পরাজয়। এর আগে টাইসন তাঁর শেষ পেশাদার ম্যাচ খেলেছিলেন ২০০৫ সালে কেভিন ম্যাকব্রাইডের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচেও তিনি হেরেছিলেন। টাইসন এবং জেক পলের মধ্যে ম্যাচটি ১৬ নভেম্বর, শনিবার আর্লিংটনের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মাইক টাইসন এবং জেক পলের এই হেভিওয়েট ম্যাচের চূড়ান্ত ফল নিষ্পত্তি হয়েছে ৮ রাউন্ডে। মাইক টাইসন প্রথম রাউন্ড ১০-৯-এ জেতেন। দ্বিতীয় রাউন্ডেও তিনি জেতেন ১০-৯ ব্যবধানে। জেক পল তৃতীয় রাউন্ডে প্রত্যাবর্তন করেন। জেক পল তৃতীয় রাউন্ডে জিতেছেন ১০-৯ ব্যবধানে। এরপর চতুর্থ রাউন্ডও ছিল পলের পক্ষে ১০-৯। চতুর্থ রাউন্ডের পর স্কোর ছিল সমান-সমান (৩৮-৩৮)।
পঞ্চম রাউন্ডে পলের ওভারহ্যান্ড পাঞ্চে আঘাত পান মাইক টাইসন। তারপরই খেই হারিয়ে ফেলেন। পঞ্চম রাউন্ড জিতে ম্যাচে লিড নেন জেক পল। এরপর ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম রাউন্ডও জেতেন।
হারলেও লক্ষ্মীলাভ বেশ ভালোই হয়েছে টাইসনের। এই ম্যাচ থেকে তিনি পেয়েছেন ২০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬৯ কোটি টাকা)। প্রতিদ্বন্দ্বী জেক পল পেয়েছেন ৪০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা)।
এই ম্যাচের আগে মাইক টাইসন পেশাদার বক্সার হিসাবে ৫০টি ম্যাচ জিতেছিলেন। হেরেছেন মাত্র ৬টি। ১৯৮৭ সালে টাইসন সর্বকনিষ্ঠ হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন। তখন তার বয়স মাত্র ২০ বছর। প্রণিধানযোগ্য, ৪৪টি ম্যাচ নকআউটেই জিতেছেন টাইসন।
২৭ বছর বয়সী জেক পল ইউটিউবার থেকে হয়েছেন পেশাদার বক্সার। ২০২০ সালে পেশাদার বক্সিংয়ে হাতেখড়ি। এই ম্যাচ-সহ ১২টির মধ্যে ১১টিতেই জিতেছেন পল।