অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল চলাকালীন এনার্জি ড্রিংকসে চুমুক দিতে দেখা গিয়েছে মহম্মদ শামিকে। রমজান মাসে এই ছবি দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, ধর্মীয় রীতির আগে দেশের কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন শামি। কিন্তু সামিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন উত্তর প্রদেশের বরেলির মৌলানা। বলেন,'রমজান মাসে মহম্মদ শামি রোজা রাখেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সময় ওঁকে এনার্জি ড্রিংক খেতে দেখেছি। উনি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা রাখেননি। যা গুনাহ (পাপ)। শরিয়ত মতে শামি অপরাধী'।
দীর্ঘদিন চোটের কারণে দলের বাইরে ছিলেন মহম্মদ শামি। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। দুবাইতে সেমিফাইনাল খেলার মাঝে হেলথ ড্রিংকস খেয়েছেন শামি। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বরেলির মৌলানা। তাঁর যুক্তি, রমজানের উপবাস ভঙ্গ করে মুসলিম হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করেননি। পাপ করেছেন শামি।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী বলেন,'ইসলামে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা ব্যক্তি চরম অপরাধী। মহম্মদ শামি রোজা রাখেননি। রোজা রাখা তাঁর কর্তব্য। রোজা না রেখে শামি পাপ করেছেন। শরিয়ত অনুযায়ী উনি অপরাধী'।
মওলানা শাহাবুদ্দিন রজভীর মতে,'এটা ঠিক করেননি মহম্মদ শামি। ইসলামের নিয়ম মেনে চলা উচিত ছিল। ক্রিকেট খেলো, খেলাধুলা করো, সব কাজ করো- কিন্তু আল্লাহ যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করা দায়িত্ব। শামির এটা বোঝা উচিত। পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত শামির'।
তবে শামি শুধু খেলার দিনই রোজা রাখেননি। বাকি দিনগুলি নিয়ম মেনেই রোজা পালন করছেন। শামির ভাই হসীব বলেন,'খেলার দিন রমজানের রোজা রাখেননি। অন্যদিন রোজা করেন। সবার বোঝা উচিত, উনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। মাঠে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, সেটাও সবাই জানে। ১০০ শতাংশ দেওয়ার জন্য রোজা রাখা সম্ভব নয়'।