আইএসএল (ISL) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার সুপার কাপে (Super Cup) পাখির চোখ মোহনবাগানের। সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে ২এপ্রিল থেকে। সুপার কাপে জিততে পারলে মিলবে এএসফি কাপের ছাড়পত্রও পেয়ে যেতে পারে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শুধু সুপার কাপের প্রস্তুতি নয়, পরের মরশুমের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে মোহনবাগান। দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। এই মরশুমে ভালো খেললেও পরের মরশুমে দল থেকে বাদ পড়তে হবে স্লাভকো ডামজানোভিচ ও ব্রেন্ডন হামিলের মধ্যে কোনও এক ডিফেন্ডারকে।
চোট সরিয়ে দলে ঢুকেছেন তিরিও। তিনি আবার এই মরশুমে আইএসএল-এ খেলতে পারেননি। তবে এখন কলকাতায় অনুশীলন করতে নেমে পড়েছেন তিনি। শুধু তিনিই নন, তাঁর সঙ্গে দীপক টাংরি ও জনি কাউকোও অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। আর এক্ষেত্রে কোপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে হ্যামিলের। স্লাভকো ডামজানোভিচ প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করেই চলেছেন। এদিকে হ্যামিলের ফিটনেস ও খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ফলে অজি এই ডিফেন্ডারকে ছাড়তে পারে এটিকে মোহনবাগান, এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ মোহনবাগান।
ইশানকে নিতে জোর লড়াই হতে চলেছে কেরল ও মোহনবাগানের মধ্যে। দুই দলই চাইছে ভারতীয় ফরোয়ার্ডকে দলে নিতে। আর এই কারণে আসন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে জোর লড়াই দেখা যেতে পারে। আগামী জুন মাসে ফ্রি এজেন্ট হতে চলেছেন ইশান। তাঁর সঙ্গে এখনও চুক্তি বাড়ায়নি জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। ফলে নতুন মরশুমে দল গঠনের লড়াই বেশ জমে উঠতে পারে। ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলতে চাইছে দুই দলই। এখনও অবধি একবারও আইএসএল জিততে না পারা কেরল চাইছে পরের মরশুমে নিজেদের প্রমাণ করতে। অন্যদিকে পরের মরশুমে লিগ শিল্ড (League Shield) জিতে সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জায়গা পাকা করতে চাইবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টসও (Mohun Bagan Super Giants)।