মহামেডান মাঠে হকি ডার্বি (Kolkata Derby) ঘিরে উত্তপ্ত ময়দান। রবিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের (East Bengal vs Mohun Bagan) হকি ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার জেরে মাথা ফাটল দুই সাংবাদিকের। কলকাতা হকি লিগের (Kolkata Hockey League) এই ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় ঝামেলা বড় আকার ধারন করে। ঢিলের আঘাতে আহত হন সাংবাদিকরা।
কী ঘটেছিল?
ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন দুই দলের সমর্থকরা। প্রিয় দলের হয়ে স্লোগান উঠতে থাকে। মোহনবাগান সমর্থকরা বসেছিলেন রেড রোডের দিকের গ্যালারিতে। মাঠের মধ্যে গ্যালারির সেই দিকেই বসার ব্যবস্থা করা হয়। ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় গণ্ডগোল। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার মাঠে বসার পর থেকেই ২০১৯-২০ মরশুমের ফিরতি ডার্বির টিকিটের টাকা ফেরত চান। সেই সময়ই উত্তেজিত হয়ে পড়েন লাল-হলুদ কর্মকর্তাদের একাংশ। প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: হকি-ডার্বিতে উত্তপ্ত মহামেডান মাঠ , দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলা
এরপরেই ঝামেলা বড় আকার ধারন করে। ফেন্সিং টপকে চলে আসেন মোহনবাগান সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও উত্তেজনার আঁচ পেয়ে উল্টো পাসের ফেন্সিং টপকে চলে আসেন। প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি। মহিলা সমর্থকরাও জড়িয়ে পরেন ঝামেলায়। মহিলাদের গায়েও হাত তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর মাঝেই মোহনবাগান গ্যালারি থেকে উড়ে আসতে থাকে ইট। সেই ইটের আঘাতে জখম হন সাংবাদিকরা। মাঠের খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: 'রঞ্জি ফাইনালে উনাদকটের খেলা দৃষ্টান্ত,' ম্যাচ হেরে BCCI-কেই খোঁচা মনোজের?
ইস্টবেঙ্গলের তরফে জানানো হয়, মাঠ পুরোপুরি দর্শকশূন্য না হলে তাঁরা খেলতে নামবে না। মোহনবাগানের দাবি, 'ওরা হারছিল। তাই অজুহাত দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা মাঠে খেলা অভ্যাস তো।' এর মাঝেই মাঠে চলে আসে পুলিশও। পুলিশ আধিকারিকরা এসে দুই দলের সমর্থকদের বের করে দেয়। সেই সময়ও মোহনবাগান সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ তাদের মারধোর করেছে। সমর্থকরা বেরিয়ে যাওয়ার পর যখন খেলা শুরু হয়, তখন দেখা যায় দিনের আলো পড়ে গিয়েছে। মহামেডান মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আলোয় জোর না থাকায় ম্যাচ বাতিল বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়।