টানটান উত্তেজনা, শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়ে জিতল পাকিস্তান (Pakistan Cricket)। বাবর আজমদের (Babar Azam) এই জয়ের ফলে এশিয়া কাপ (Asia Cup) থেকে বিদায় নিল ভারত। শেষ ওভার পর্যন্ত আশা জিইয়ে ছিল ভারতের। আফগানিস্তানের জিততে দরকার ছিল মাত্র একটা উইকেট। আর পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। প্রবল চাপের মধ্যে সেই কাজটাই করে ফেললেন আসিফ আলি। দলকে পৌঁছে দিলেন এশিয়া কাপের ফাইনালে।
বুধবার শারজাহতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের ফলে আফগানিস্তান ও ভারতের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল। ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি থাকলেও এই দুই দলেরই ফাইনাল খেলা হবে।
৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতীয় দল যদি আফগানিস্তানকে হারায়, তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে মাত্র দুই। অর্থাৎ পয়েন্টের ক্ষেত্রে ভারত আর কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কাকে টপকে যেতে পারবে না। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দুই দলেরই চার পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: 'ও আমার সন্তানের বাবা,' NBA প্লেয়ারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পর্নস্টারের
ফের ব্যর্থ বাবর আজম
১৩০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ৫০ রানের মধ্যে মহম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের উইকেটও হারায় পাকিস্তান। কিন্তু ইফতিখার আহমেদ এবং শাদাব খানের মধ্যে ৪২ রানের জুটি পাকিস্তানের ইনিংসকে জয়ের রাস্তায় ফিরিয়ে আনে।
আরও পড়ুন: রোহিতে রাগ, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং #SackRohit
শেষ ওভারে দারুণ ব্যাটিং নাসিমের
ইফতেখার আহমেদ ৩০ ও শাদাব খান ৩৬ রান করেন। ইফতিখার আহমেদ প্যাভিলিয়নে ফেরার পর, পাকিস্তান নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে, তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১১০। এরপর আসিফ আলিও আউট হন। যদিও তিনি কিছু শট মেরে পাকিস্তানকে জয়ের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে পাকিস্তানকে ১১ রান করতে হত। কিন্তু নাসিম শাহ প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন।
আফগানিস্তান ভাল শুরু করে
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান দল আবারও ভাল শুরু করে। রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১৭) ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হাসনাইনের বলে দুটি ছক্কা হাঁকান। আর চতুর্থ ওভারে হজরতুল্লাহ জাজাই (২১) হ্যাঁরিস রাউফের বলে দু'টি চার মারেন। তবে একই ওভারের পঞ্চম বলে গুরবাজকে বোল্ড করেন রাউফ। জাজাইয়ের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন গুরবাজ। এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মহম্মদ হাসনাইনের বলে আউট হন জাজাই। পরপর দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান ও করিম জানাত (১৫) ৩৫ রানের জুটি গড়ে ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন। তবে পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে দুই ব্যাটসম্যানকেই দ্রুত রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। দ্বাদশ ওভারে বড় শট মারার চেষ্টা করা মহম্মদ নওয়াজকে প্যাভিলিয়নে ফেরান জানাত। এরপর ১৪তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন নাজিবুল্লাহ জাদরান (১০)।
পরের ওভারের প্রথম বলেই নাসিম শাহ কোনও রান না করেই আউট হয়ে যান। যার কারণে আফগানিস্তান ৯১ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। অন্যদিকে, ইব্রাহিম জাদরান, শাদাবের বলে ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়াতে পারলেও তিনিও ১৭তম ওভারে রাউফের বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন।
আফগানদের লজ্জা বাঁচান রশিদ খান
পরে আজমতুল্লাহ ওমেরজাই এবং রশিদ খানের জুটি শেষ তিন ওভারে ২৪ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে ১২৯ রানে পৌঁছে দেন। রশিদ ১৮ ও ওমেরজাই ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার হ্যারিস রাউফ। অন্যদিকে নাসিম শাহ, মহম্মদ হাসনাইন, মহম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট পেয়েছেন।