অনেকেই বলেন বাঙালি ফূটবলার কোথায়? এমনকি দুই প্রধানের রিজার্ভ বেঞ্চ জুড়েও দেখা যায় ভিন রাজ্যের ফুটবলারদেরই। তবে এই হতাশার মাঝেও আশার আলো সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল থেকে উঠে আসা কালীঘাট এমএস-এ আর সেখান থেকেই এক বছরের মধ্যে ঢুকে পড়া কার্লেস কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গলে।
সুপার কাপে দুই ম্যাচে তারকা নন্দাকুমারের জায়গায় তাঁকে নামিয়ে দিয়েছেন কার্লেস। ডার্বি ম্যাচে সময়টা আরও কম পেয়েছিলেন। কিন্তু সুপার কাপের সেমিফাইনালে নেমেই আদায় করে নিয়েছেন পেনাল্টি। বাঙালি এই উইঙ্গার শুরু থেকেই ক্ষিপ্র গতিতে পেছনে ফেলে দিতে পারেন যে কোনও ডিফেন্ডারকে। এমনটাই জানালেন সায়নের কোচ পদম থাপা।
কীভাবে সায়নকে স্পট করলেন কালীঘাট কর্তারা? পদম বলেন, 'আমাদের ক্লাবে ও এসেছিল আসানসোল থেকে। তাম্রলিপ্ত কাপে আমরা খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওকে শেষ দিকে নামাতেই ও দারুণ খেলেছিল। তারপর থেকে ও রোজ নিজের উন্নতিতে মন দিয়েছে। দারুণ নম্র, ভদ্র ছেলে।' কালীঘাট থেকে কীভাবে লাল-হলুদে সই করলেন সায়ন? কালীঘাট কোচ বলেন, 'সেটাও দারুণ একটা গল্প। প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছিল সায়ন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ও খুব ভালো খেলেছিল। তারপরেই আমাদের ড্রেসিংরুমে আসেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনিই সায়নকে ইস্টবেঙ্গলে খেলার প্রস্তাব দেন।' সুপার কাপের ডার্বিতেই লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয় এই বাঙালি ফুটবলারের।
খেলার পাশাপাশি পড়াশুনাও চালিয়ে যাচ্ছেন সায়ন। কালীঘাট থেকে উঠে আসা এই তরুণকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর খেলার ঝলক দেখেই একের পোর এক পোস্ট করছেন তাঁরা। তবে এখানেই যেন আত্মতুষ্ট না হয়ে পড়ে সায়ন। চাইছেন পদম। তিনি বলেন, 'আমার আশা ও যদি এভাবে চালিয়ে যেতে পারে তা হলে ভারতীয় দলেও খেলতে পারবে। কাল ওর খেলা দেখলে বুঝতে পারবেন কীভাবে ভারতীয় দলের হয়ে খেলা প্রতীক চৌধুরীকে কার্যত টেনে নিয়ে গেল বক্স অবধি। তারপরেই পেনাল্টি আদায় করল।'
সুপার কাপের দলে যে সায়ন সুযোগ পেয়েছেন তা সায়নকে জানিয়েছিলেন কোচ থাপাই। তিনি বলেন, 'সুপার কাপের দলে ও যে সুযোগ পেয়েছে সেটা আমিই ওকে জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম খেলার দিকে আরও বেশি করে মন দিতে। ও সেটা করতে পেরেছে দেখে আমার ভাল লাগছে।'