নির্বাসনের খাড়া ঝুলছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সামনে। তবে তার মধ্যেই কিছুটা স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানান হল, তারা চলতি মাসের ২৮ তারিখ এই গঠনতন্ত্রের খসড়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে রাজ্য ফুটবল সংস্থা গুলির যদি কোনও আপত্তি থাকে তা জানানোর কথা বলা হয়েছে এই নির্দেশে এবং তা অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে। বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই একটা বিষয় দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গেল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ভারতীয় ফুটবলের গঠনতন্ত্রের অচলায়তকে ধাক্কা দিতে চাইছে। শুক্রবার নয়া গঠনতন্ত্রের খসড়া নিয়ে রাজ্য ফুটবল সংস্থা গুলি,এফএসডিএল,কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং সরকার পক্ষ তাদের বক্তব্য রাখে। সেখানে তাদের আপত্তির কথাও উঠে এসেছে।
আগামী সোমবারের মধ্যে যাবতীয় বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপর ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে নির্দেশ জানাবে। এর ফলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গঠনতন্ত্রের খসড়া ঠিক করার পরে ১৫ সেপ্টেম্বরের প্রশাসনিক নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেল। ফিফার ব্যানের আশঙ্কা থেকেও অনেকটাই স্বস্তি পেল ভারতের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। সবচেয়ে বড় কথা, যাঁরা ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ফেডারেশনের কোনও পদে অথবা কার্যকারি কমিটিতে আছেন, তাঁদের আর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনও অধিকার হয়ত থাকছে না নতুন সংবিধানে।
আরও পড়ুন: রাহুলের করোনা, চোট জাদেজার, WI-র বিরুদ্ধে নামার আগে চাপে ভারত
আরও পড়ুন: ISL-এ ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পারেন স্টিফেন, শীঘ্রই ঘোষণা
জানা যাচ্ছে, এই গঠনতন্ত্রে ফেডারেশনের প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের প্রস্তাব করা হয়েছে। সহ সভাপতির পদ সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগে, সচিবকে বাদে ১৯ জনের কমিটি তৈরি করা হত। নতুন গঠনতন্ত্র সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষের পরেই থাকবেন দশ কমিটি সদস্য। তারমধ্যে পাঁচজন প্রশাসক। আর বাকি পাঁচজন প্রাক্তন ফুটবলার। প্রাক্তনদের ক্ষেত্রে নির্বাচিত হবার শর্তও দেওয়া হয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন এবং অন্ততঃ বছর দুয়েক আগে খেলোয়াড় হিসাবে অবসর নিয়েছেন। এমন কেউ আসতে পারেন এই পদে। তবে তাঁর বয়স হতে হবে ৬৬ বছরের কম।