সেমিফাইনালেই হার ভারতের (Team India)। প্রতিপক্ষ সেই অস্ট্রেলিয়া (Australia Women)। ভারতের মেয়েদের (Indian Women Cricket Team) ৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। ব্যর্থ হল হরমনপ্রীতের (Harmanpreet Kaur) লড়াকু ইনিংস। টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। খারাপ ফিল্ডিং-এর খেসারত দিতে হল ভারতীয় দলকে। তবে ব্যাট করতে নেমেও প্রায় রানটা করে ফেলেছিল তারা। যদিও অধিনায়ক হরমনপ্রীত আউট হতেই সবটা বদলে যায়। ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ জেতার হ্যাটট্রিক গড়ার হাতছানি তাদের সামনে।
সেমিফাইনালের শুরু থেকে লাগামহীন বোলিং ভারতকে ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। রেনুকা ঠাকুরের ওপর ভরসা করা হলেও তিনি ব্যর্থ। পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। রাধা যাদব প্রথম ধাক্কা দেন অজিদের। ৫২ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২৫ রান করে আউট হন অ্যালিসা হিলি। রিচা ঘোষ স্টাম্প আউট করেন। এরপরেই আবার ল্যানিং-এর ক্যাচ ফেলেন রিচা। পরের ওভারেই আবার বেথ মুনির ক্যাচ ফস্কান রাধা যাদব।
সেখান থেকে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৫৪ রান করে আউট হন ল্যানিং। তাঁকে আউট করেন শিখা পাণ্ডে। ১৪ ওভারে ৯৯ রান করে অজিরা। শেষ ছয় ওভারের প্রায় প্রতি বলেই চালিয়ে খেলতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ফিল্ডিং মিস ভারতের সমস্যা আরও বাড়ায়। শেষ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ফেলেন রেণুকা। ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো করতে পারেনি ভারতীয় দল। ৪ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। আউট হন স্মৃতি মন্ধনাও। ৪ রান করে আউট হন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া। তবে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। হাল ধরেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন জেমাইমা রড্রিগেজ। ৫০ রানের জুটি জুটি বাঁধেন দুই ব্যাটার।
শেষ ১০ ওভারে ভারতের ৮০ রান দরকার ছিল। তবুও মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচটা জিতে যাবে। ক্রিজে তখন জেমাইমা ও হরমনপ্রীত। ২৪ বলে ৪৩ রান করে জার্সি ব্রাউনের বল আপার কাট মারতে গিয়ে আউট হন জেমাইমা। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচের আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাঁকে। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেও ব্যর্থ তিনি। ৫২ রানের মাথায় রান আউট হন তিনি। ক্রিজে ব্যাট আটকে গিয়ে আউট হন হরমনপ্রীত।